নগরীর বায়েজিদ থানাধীন শেরে বাংলা রোড এলাকার একটি বাসা থেকে ইব্রাহীম হোসেন রাফাত (৯) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ওই এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। গত মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বায়েজিদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হোসাইন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাসার কাঠের নিচে পড়ে ছিল শিশু। দরজা বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়। বাসায় তখন ভিকটিম শিশুর তিন বছরের ছোট ভাই ছাড়া কেউ ছিল না।
শিশুর গলায় দাগ রয়েছে উল্লেখ করে মো. হোসাইন বলেন, শিশু রাফাতের বাবা জাকির হোসেন কাভার্ড ভ্যানের চালক। মা ফোর এইচ গ্রুপে চাকরি করেন। ঘটনার সময় দুইজনই বাইরে ছিলেন। রাত পোনে একটার দিকে চাকরি থেকে ফিরে মা বাসার দরজা ধাক্কালে দরজা বন্ধ পান। তখন ভেতরে কান্না করছিলেন তাদের তিন বছরের আরেক শিশু। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন কাঠের নিচে লাশ হয়ে পড়ে আছে ৯ বছরের রাফাত।
তিনি বলেন, বাসায় কেউ না থাকলে ছোট ভাইকে নিয়ে চোর পুলিশ খেলা করে রাফাত। সে জন্য কাপড় দিয়ে চোখ বন্ধ করতে গিয়ে গলায় টান পড়েছে কিনা তা তদন্তের বিষয়। এছাড়া সাবানের পানিসহ একটা কৌটা ও ডিটারজেন্ট পাওয়া গেছে লাশের পাশে। তা খেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে কিনা তাও দেখার বিষয়। এসব শুধু ধারণা। নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে।
এদিকে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান আজাদীকে বলেন, রাফাত নামের এক শিশুকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।