বাড়ি যাওয়ায় ছিল স্বস্তি শহরে ফিরতে ভোগান্তি

চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌরুট

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি | রবিবার , ৮ মে, ২০২২ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-রুটে গত ২০ এপ্রিল স্পিডবোট দুর্ঘটনায় তিন শিশু নিহত ও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এরপর থেকে এ রুটে বন্ধ রয়েছে স্পিডবোট চলাচল। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা স্পিডবোটের উপর যাত্রীদের নির্ভরতা যেমন বেড়েছে, তেমনি জরুরি অবস্থায় রোগীদের শহরে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন ছিল এটি। তবে সম্প্রতি বিআইডব্লিউটি এর নির্দেশে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ রুটে স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

ফলে এবারের ঈদে সন্দ্বীপে আসা যাত্রীদের অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন। স্পিডবোট না থাকায় নদীতে সময় কিছুটা বেশি লাগলেও ছিল না টিকেট নেয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তি। ঈদের ছুটিতে সন্দ্বীপে বেড়াতে এসেছেন কাজী ফরহাদ। এবার নৌ পথে আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কুমিরা ঘাটে টিকেট কাউন্টারের ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল। লালবোটে (লাইফবোট) ওঠা-নামা ছিল সুশৃঙ্খল। এছাড়া লালবোট থেকে শীপে ওঠা-নামার ব্যবস্থা ছিল ভালো। ঘাট শ্রমিকদের সুন্দর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

ঘাট সূত্রে জানা যায়, এবারের ঈদে সন্দ্বীপে যাত্রী পারাপারের জন্য কুমিরা থেকে প্রতিদিন এম.ভি আইভি রহমান জাহাজ দুই ট্রিপ ও ৮ টি সার্ভিস ট্রলার চলাচল করেছে।

তবে ঈদের ছুটি শেষে শহরে ফিরতে যাত্রীদের পড়তে হয়েছে নানা ভোগান্তিতে। ছুটি কাটিয়ে অধিকাংশ যাত্রী একসাথে শহরমুখী হওয়ায় এসব ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
আকবর হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, আমি ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ঘটে এসে জাহাজের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন আমার সামনে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিল। তবুও আমি টিকিট পাইনি। তিনি আরও বলেন, যাত্রীরা ফজরের আগে থেকে এসে দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু কাউন্টারে দায়িত্বরতরা ৬ টার আগে টিকেট দেয় না। ফলে পেছনের লোকগুলো অনেক পরে এসে পরিচিত মুখ দেখে দেখে টিকিট নিয়ে নেয়। অনেকে আবার বিশৃঙ্খলা তৈরি করে টিকিট সংগ্রহ করতে চায়। যেহেতু জাহাজের টিকিট সীমিত, সেহেতু যাত্রী আসার সাথে সাথে টিকিট দিয়ে দিলে এসব অনিয়ম হতো না।

এদিকে শুক্রবার রাত ১১ টায় একজন প্রসূতি নারীকে জরুরি ভিত্তিতে সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু তখন সাগরে ভাটার কারণে সকল নৌযান উপরে আটকে ছিল। পরে প্রায় ৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পর গতকাল ভোর ৫ টায় কুমিরা ঘাটে নেয়া সম্ভব হয়।

এ বিষয়ে আমরা সন্দ্বীপবাসীর সমন্বয়ক খাদেমুল ইসলাম বলেন, সন্দ্বীপ থেকে জরুরি ভিত্তিতে রোগী চট্টগ্রামে আনা নেওয়ার জন্য এ রুটে অবশ্যই দুটি সি-এম্বুলেন্স প্রয়োজন। এছাড়া যাত্রী পারাপারের জন্য আরও একটি সরকারি জাহাজ প্রয়োজন। পাশাপাশি জাহাজে ওঠা-নামা আরও নিরাপাদ ও সহজ করার দাবিও জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএপ্রিলে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৩
পরবর্তী নিবন্ধ‘পুতিনের মেয়েবন্ধু’ কে এই আলিনা কাবায়েভা?