বাড়বকুণ্ড বিট অফিসের পাশেই বন উজাড়

অর্ধশতাধিক সেগুন গাছের কাটা অংশ উদ্ধার

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শনিবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড বিট অফিসের পাশে পাহাড় থেকে শতাধিক গাছ কেটে নিয়েছে বনখেকোরা। সরকারি খাস খতিয়ানের পাহাড় থেকে এই গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে অর্ধ শতাধিক সেগুন গাছের কাটা অংশ উদ্ধার করেন। এসময় গাছ বহনকারী একটি ট্রাক জব্দ করা হলেও গাছ কাটার সাথে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এই গাছগুলো কেটে বিক্রি করা হচ্ছিলো। তবে বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন দুই ব্যক্তি গাছ কাটার অনুমতি চাইলেও আইনি জটিলতার কারণে অনুমতি দেয়া হয়নি। তারা গাছগুলো রোপণ করেছে বলে জানালেও তার কোনো সত্যতা মেলেনি।

জানা যায়, কয়েকজন বনখেকো শ্রমিক দিয়ে ৩-৪ দিন আগে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের সরকারি খাস জায়গায় ২০/২৫ বছর আগে বন বিভাগের রোপণকৃত সেগুন গাছ কাটা শুরু করে। পাহাড়টি বাড়বকুণ্ড বন বিট অফিসের পাশে হলেও গাছ কাটার সময় কেউ বাধা দেয়নি। এমনকি এলাকার লোকজন বিট অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি। এতে করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার অনেকগুলো সেগুন গাছ কেটে ট্রাকে করে নিয়ে যায় তারা।

গাছ বহনকারী ট্রাকের চালক মো. শরীফ বলেন, বাড়বকুণ্ড নতুন পাড়ার প্রতিবন্ধী মামুন গাছগুলো আনার জন্য ট্রাকটি ভাড়া করে। মামুন ট্রাক চালককে বলেছিল, বন অফিসের অনুমতি নিয়েই গাছগুলো কাটা হয়েছে। তাই কেউ ট্রাক আটক করবে না।

শুক্রবার সকালে সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরে দুপুরে অভিযানে নামে। ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ বহনকারী একটি ট্রাকসহ প্রায় অর্ধশত গাছ জব্দ করেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে সরকারি খাস জায়গায় অভিযান চালিয়ে অর্ধ শতাধিক গাছ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতি ও বুধবার যে গাছগুলো কেটে নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। যারা গাছ কাটছে তাদেরও শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বন বিভাগের কুমিরা রেঞ্জ অফিসার মাকসুদ আলী বলেন, গত সপ্তাহে বাড়বকুণ্ড বন বিট অফিসে জনৈক সেকান্দরসহ দুইজন ব্যক্তি পাহাড় থেকে সেগুন গাছ কাটার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করেন তারা বনে সেগুন গাছ রোপণ করেছেন, সেগুলো তারা কাটবেন। আবেদনে দেওয়া জায়গার খতিয়ান ও দাগ নম্বর পাহাড়ের দাগের সঙ্গে মিল ছিল না। তাই আমরা অনুমতি দিইনি। তবে বন বিট অফিসের পাশের পাহাড় থেকে গত দুইদিন ধরে গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ সাগরে মাছ ধরা শুরু