বাড়ছে পাহাড় ধসের শঙ্কা, তবুও সরছে না বাসিন্দারা

কাপ্তাইয়ে টানা তিনদিন বৃষ্টিপাত

কাপ্তাই প্রতিনিধি | রবিবার , ১৯ জুন, ২০২২ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাইয়ে টানা তিনদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী শত শত পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু প্রবল ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও অনেকেই নিরাপদ স্থানে সরতে চাচ্ছেন না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, কাপ্তাই উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে কাপ্তাই নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনী এবং চন্দ্রঘোনার বরইছড়ি ও মিতিঙ্গাছড়ি এলাকায়। এসব এলকায় শতাধিক পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। তাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান শনিবার সারাদিন মাইকিং করেন। কিন্তু প্রশাসনের অনুরোধে কেউ সাড়া দিচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, যারা চরম ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন তাদের চিন্তায় উপজেলা ও জেলা প্রশাসন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। কিন্তু যারা ঝুঁকিতে বসবাস করছে তাদের কোনো চিন্তা নেই। শুক্রবার সারা রাত ভারী বৃষ্টির ফলে আমরা কেউ ঠিকমত ঘুমাতে পারিনি। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে তারা ঠিকই গভীর ঘুমে মগ্ন ছিল। এসব পরিবারদের নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারাই নিরাপদ স্থানে সরে আসবেন তাদের প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা দেবে। তবে অধিক ঝুঁকিতে বসবাসকারিরা স্বেচ্ছায় নিরাপদ স্থানে সরে না এলে প্রয়োজনে জোর করে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।

এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কাপ্তাইসহ পুরো রাঙ্গামাটি জেলায় গত তিনদিন ধরে বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন। কাপ্তাই উপজেলাসহ বিলাইছড়ি, নানিয়ারচর, জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় বিপুল সংখ্যক পরিবার চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। আমরা যে কোনো উপায়ে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবার পাহাড় ধস, ৪ মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধবাধা দেয়ায় চৌকিদারের মাথা ফাটাল ডাকাতদল