বাহারছড়ায় ভোরে ফিশিং বোটে কী এলো কারা আনলো

পুলিশ জব্দ করেছে পরিত্যক্ত বোটটি

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৮ এপ্রিল, ২০২২ at ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুরের ইটভাটা এলাকায় জলকদর খাল দিয়ে আসা একটি ফিশিং বোটে করে ‘অবৈধ’ মালামাল খালাস করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি পরিত্যক্ত ফিশিং বোট জব্দ করেছে। তাতে কোনো মালামাল ছিল না। তবে ভোর বেলায় এই ফিশিং বোটে কি এলো কারা আনলো সে বিষয়ে কোনো তথ্যই কেউ দিতে পারেনি।
বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর এলাকার ইউপি সদস্য মো. এবাদুল হক জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় জনগণ ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। পরে জানা যায়, একটি ফিশিং বোটে করে আনা কাপড় চোপড় জনগণ লুট করে নিয়ে গেছে। রশিদ নামে এক ব্যক্তি এ কাপড় নিয়ে যাওয়ার সময় জনগণ তাকে মারধর করে বলেও জানান ইউপি সদস্য এবাদুল হক।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে জলকদর খালে বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুরের ইটভাটা এলাকায় ফিশিং বোটে করে মালামাল এনে খালাস করা হচ্ছে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ সব মালামাল সিএনজিযোগে বশির উল্লাহ মিয়াজী বাজারে নিয়ে যাওয়ার পথে অনেকে টানা হেঁচড়াও করেন বলে জানান আজিজ নামে স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এস. এম. আরিফুর রহমান ও বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মুজিবুর রহমান বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে আসেন। তারা একটি পরিত্যক্ত ফিশিং বোট (মায়ের দান ১০৯৩) জব্দ করেন। তবে সেখানে কোনো মালামাল পাননি বলে জানান। ইউপি সদস্য মো: এবাদুল হক বলেন, উদ্ধার করা ফিশিং বোটটি পুলিশ আমার জিম্মায় দিলেও জোয়ার আসলে ফাঁড়ির কাছে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, থানার পরিদর্শক তদন্ত এস.এম. আরিফুর রহমান ও ফাঁড়ির কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে একটি ফিশিং বোট জব্দ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবহদ্দারহাট থেকে গ্রেপ্তার মলম পার্টির ৪ সদস্য কারাগারে
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচলাইশে সেফটিক ট্যাংকে নারীর গলিত লাশ