নগরীর খুলশীর ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে ডেমু ট্রেনের সাথে বাস, ম্যাক্সিমা ও সিএনজি টেক্সির সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় বাস চালককে দায়ী করে এবং গেট না ফেলার কারণে গেটম্যানকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে রেলওয়ে তদন্ত কমিটি।
গত ৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় খুলশী থানাধীন জাকির হোসেন রোডের ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা টেক্সি ও ম্যাক্সিমাকে পেছন দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি বাস ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ডেমু ট্রেনের উপর আছড়ে ফেললে পাহাড়তলী কলেজের এক শিক্ষার্থী ও এক ট্রাফিক পুলিশসহ তিনজন নিহত হন। এই ঘটনায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গত বৃহস্পতিবার তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাস চালক শহীদুল আলমকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেন আসার সময় গেটকিপার গেট না ফেলার কারণে তাকেও দায়ী করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশও করা হয়েছে। বাসের চালক বেপরোয়া গতিতে বাস না চালালে ওই দুর্ঘটনা হয়ত এড়ানো যেত। এছাড়া গেটম্যান এক পাশের লোহার ব্যারিয়ার না ফেলায় সেদিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। গেটম্যানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বাস চালক শহীদুল আলমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে এবং গেটকিপার আশরাফুল আলমগীর ভূইয়াকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে জেলে আছেন।