বান্দরবানের দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার লকডাউনের প্রথমদিনে আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলোতে অবস্থানরত পর্যটকদের বান্দরবান ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট নীলাচল, মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স, চিম্বুক, নীলদিগন্ত, প্রান্তিকলেক, নীলগিরি দর্শনীয় স্থানগুলো তালাবন্ধ অবস্থায় ছিলো। বেড়াতে আসা পর্যটক সাজ্জাদ হুসেন, ফরহাদ অভি বলেন, হঠাৎ করেই লকডাউনের ঘোষণা হয়রানিমূলক।
বেড়াতে এসে কোথাও না ঘুরে ফিরে যেতে হচ্ছে। দরজা বন্ধ করে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থেকে করোনা নির্মূল সম্ভব নয়, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করুন দেশবাসীকে। তবেই করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে। পর্যটক বন্ধ করে অর্থনীতির বারোটা বাজানো ছাড়া আর কিছুই হবেনা।
আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করেই পর্যটন স্পটগুলো ১৪ দিনের জন্য বন্ধের ঘোষণায় বান্দরবান ছেড়ে যাচ্ছে পর্যটকেরা। অধিকাংশ হোটেলেই কমবেশি বুকিং ছিলো। কিন্তু লকডাউনের কারণে বুকিং বাতিল করছে পর্যটকেরা। গতবছরও এমন সময়ে লকডাউনে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল পর্যটন শিল্প। করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিও ভালো নয়। সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি বলেন, করোনা সংক্রমণের সংখ্যাটা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে পর্যটন স্পটগুলো আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবহন এবং আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুজনের স্থলে একজন অবস্থান করে সেবা চালু রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নো মাস্ক নো সার্ভিস কার্যকরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমান আদালত। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে।