বান্দরবানের রুমায় হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া ১৩৪ বস্তা চুরি যাওয়া চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম এই চাল চুরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে রুমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও) নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যান কালোবাজারে বিক্রির জন্য লুকিয়ে রাখা চালের বস্তা ফিরিয়ে দেন বলে জানা গেছে। পরে ইউএনও ১৩৪ বস্তা চাল গুদামে রেখে তালা লাগিয়ে দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তফসিল ঘোষিত দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবরে হতদরিদ্রদের ভিজিডির ১৩৪ বস্তা চাল বিতরণ না করে তা রেখে দেন ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম। বিষয়টি রুমার ইউএনও জানার পর দ্রুত তা ফেরত দিতে বললে মঙ্গলবার রাতে চাল ফেরত দেন চেয়ারম্যান। পরে তা গুদামে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন ইউএনও।
ইউপি মেম্বার রমেশ ত্রিপুরা বলেন, “চাল চুরির বিষয়ে আমার জানা নেই। কত বস্তা চাল তাও জানি না। তবে চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছিলেন রাতে চালের বস্তা আসবে তা ঠিকমতো বুঝিয়ে দিতে।”
তবে ভিজিডির চাল চুরির বিষয়টি অস্বীকার করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিরা বম বলেন, “পরে বিতরণের জন্য চাল আমি বান্দরবান সদরে গুদামে রেখেছিলাম। এর আগেই হইচই হয়ে গেছে। তাই চালের বস্তা বান্দরবান থেকে রুমা নিয়ে এসেছি।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন শিবলী বলেন, “হতদরিদ্রদের ১৩৪ বস্তা চাল উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে রুমার ৩ নম্বর রেমাক্রী প্রাংসা ইউপির চেয়ারম্যান নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন এমন খবর পেয়ে ভিজিডির চালগুলো উদ্ধার করে গুদামে রেখে তালা দিয়েছি।”