করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বান্দরবানে কঠোর লকডাউনেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে শনিবারও বান্দরবান বাজারসহ আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে লোকজনদের জটলা বেঁধে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করা, আড্ডা দেয়া এবং চলাফেরা করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো অনেকটায় উদাসিন পার্বত্য এই জনপদের মানুষগুলো। তবে লকডাউন কার্যকর এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নেমেছে। দোকান খোলা রাখায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ঘুরাফেরা করার অপরাধে দোকানদারদের জরিমানা করেছে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হ্যান্ড মাইকে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে প্রশাসনের অফিসারদের। অপরদিকে শহরের মোড়ে মোড়ে এবং অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর মুখে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে অপ্রয়োজনীয় চলাচলকারী যানবাহনগুলো আটক করছে পুলিশ। শনিবারও বালাঘাটা স্বর্ণমন্দির ব্রিজ, বাসস্ট্যান্ড, মেম্বারপাড়া জজকোর্ট এলাকা, হাফেজঘোণা পোস্টঅফিস মোড়, নিউগুলশান মোড় এবং ট্রাফিক মোড়ে অসংখ্য মোটর সাইকেল আটকিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সরকারের সুনিদিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কারা জরুরি প্রয়োজনে গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে। সরকারের নির্দেশনা মেনে লকডাউন কার্যকরে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। লকডাউন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা বলেন, লকডাউনে বান্দরবানে নমুনা দিতে আসা রোগীদের সংখ্যা কমেছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত এক সপ্তাহে নেই বললেই চলে। বর্তমানে সদর হাসপাতালে ২ জন, নাইক্ষ্যংছড়িতে ২ জন এবং লামায় ১ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে করোনা রোগীদের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে ৩০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে।