বান্দরবানে ঝড়ে গাছ ভেঙে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই জনের মৃত্যু

বান্দরবান প্রতিনিধি | রবিবার , ১ জুন, ২০২৫ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবান জেলায় ঝড়ে গাছ ভেঙে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। জানা যায়, গতকাল ঝড়ের সময়ে আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের মেনরত পাড়ায় বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন তাইপাও ম্রো। এ সময় গাছ ভেঙে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয় রিংয়ং ম্রোর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মুমিন।

অপরদিকে গতকাল বৃষ্টির পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিছামারা এলাকায় বাড়ির পাশ্ববর্তী পতিত জমিতে গরু বাঁধতে গিয়ে ঝড়ে ছিড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নূর ফয়েজ (৪০) দক্ষিণ বিছামারা এলাকার বদিউল আলমের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুরুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশটি উদ্ধার করা হয়।

প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিন ধরেই জেলার সাতটি উপজেলায় থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলার চৌত্রিশটি ইউনিয়নে ২২০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, শনিবারও জেলার সাতটি উপজেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে টানা ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ও সড়ক ধসে লামাসূয়ালক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পাহাড় ধসের মাটি সড়ক থেকে অপসারণের পর রুমা সড়কে যোগাযোগ চালু হয়েছে। এছাড়া থানচি, রোয়াংছড়িরুমা, থানচিআলীকদম ও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসে সড়কে কাদা মাটি জমে সড়কগুলো পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি ঢল নেমে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে নদী ও খালে ডুবে কিশোরীসহ ২ জনের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বহিষ্কারের শঙ্কা