বাটাখালী অংশের খানাখন্দে দেড়মাস ধরে ভোগান্তি

চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী সড়ক

চকরিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ার অভ্যন্তরে যে কয়টি আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে তদ্মধ্যে বেশ ব্যস্ততম হচ্ছে চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী সড়কটি। এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন জেলার চকরিয়া, মহেশখালী, পেকুয়াসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু সড়কটির চকরিয়া পৌরশহরের বাটাখালীস্থ মাতামুহুরী সেতুর পশ্চিম দিকের প্রায় ২০ ফুট মতো অংশ ভয়াবহ খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণের অভিযোগ, মাত্র ২০ ফুট সড়কের বেহাল দশার জন্য সড়কের উভয়দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো দীর্ঘসময় যানজটের কবলে পড়ছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকায় বাহনের যাত্রীসাধারণের ত্রাহী অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। এমনকি এবড়ো-খেবড়ো হয়ে পড়া সড়কের গর্ত পার হতে গিয়ে ছোট ছোট যানবাহনগুলো উল্টে পড়ছে।
মাইজঘোনা এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজাদীকে জানান, সড়কটির মাইজঘোনা অংশের দুইপাশে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি ট্রাক, গাড়ির গ্যারেজের সামনে অহরহ অঁকেজো যানবাহন দিনের পর দিন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা বলেন, চকরিয়ার-বদরখালী-মহেশখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। অর্থনৈতিক বিবেচনায় এই সড়কের গুরুত্ব আরও বেশি। কিন্তু বাটাখালী ব্রিজের পশ্চিমাংশে অন্তত ২০ ফুটের মতো অংশ বেহালদশায় পরিণত হওয়ায় জনদুর্ভোগের সীমা অতিক্রম করেছে। সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিমুহূর্তে যানবাহনের জটলা বাড়ছে। এতে পরীক্ষার্থী, রোগী, আমজনতা থেকে শুরু করে পণ্যবাহী যানবাহনের কোনোটার নিস্তার নেই। তিনি অভিযোগ করেন, গত দেড়মাস ধরে সড়কটির এই হাল হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা রয়েছেন ঘুমের ঘোরে। বারবার বলার পরও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা।
এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কঙবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি প্রকল্পের মিটিংয়ে আছেন বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে সড়কের ছবিসহ খুদে বার্তা পাঠানো হলে স্থানীয় উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
যোগাযোগ করা হলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) দিদারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। অতিদ্রুত সড়কটির ভাঙা অংশের মেরামত কাজ শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইলিশ কেজি প্রতি বেড়েছে ২-৩শ টাকা
পরবর্তী নিবন্ধলাইসেন্স ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি