বাজেট জনকল্যাণমুখী ও সাহসী : খলিলুর রহমান

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২ জুন, ২০২৩ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

২০২৩২০২৪ অর্থবছরের বাজেটকে জনকল্যাণমুখী ও সাহসী বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি খলিলুর রহমান। এ ধরনের বাজেট উত্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় খলিলুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে ২০২৩২৪ অর্থবছরের জন্য ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ স্লোগানে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এ ধরনের বাজেট প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সময়ে যথোপযুক্ত এবং সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে করি। আমরা মনে করি অর্থমন্ত্রী ঘোষিত বাজেট বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হলেও প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্ব, সুশাসন, স্বচ্ছ জবাবদিহি এবং সদিচ্ছায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। দুর্নীতিমুক্ত এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে এ বাজেট বাস্তবায়ন সহায়ক হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের জন্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭/২৪ কর্ম ঘণ্টার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব কিছু নয়। নিয়মিত কর প্রদানকরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে নতুন করদাতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব প্রদানসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। যেহেতু, বিশ্ব অর্থনীতিতে রপ্তানি বাণিজ্য মন্দা, তাই দেশের বৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা আয়কারী পোশাক শিল্প টিকিয়ে রাখতে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর সম্পূর্ণ দিয়ে শূন্য শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বন্ডসমূহের আমদানি শুল্ক শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একত্রে আদায় না করে বন্ডের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পরিশোধের সুযোগ রাখলে শিল্পসমূহ আর্থিক সংকটের সম্মুখীন না হলে যথাযথ আমদানির সুযোগ থাকলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে।

খলিলুর রহমান বলেন, কাস্টম হাউসে একত্রে শুল্ক পরিশোধ করতে হলে আর্থিক সংকটের কারণে আমদানি কমবে। ফলে শুল্ক আহরণ ও পণ্য উৎপাদন কমে যাবে। যা দেশের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত করবে। বিদেশি এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রদানে যে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হবে, তার জন্য সরকারের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ঘাটতি মোকাবেলায় বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার দাবি জানাই। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি এবং প্রতি তিন মাস অন্তর কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য টার্গেট করে দিলে, সেই টার্গেট মতে কার্য সম্পাদনে ব্যর্থ হলে সেই দপ্তরের প্রয়োজনীয় জবাবদিহি থাকবে। না হলে ব্যয় বৃদ্ধি ও সময়ক্ষেপণ বাড়বে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিগারেটের দাম আরও বাড়ছে
পরবর্তী নিবন্ধরিটার্ন দাখিলে দিতে হবে অন্তত ২০০০ টাকা