ঊনবিংশ শতাব্দীর মেধাবী, সাহসী– গোপালগঞ্জ জেলা টুঙ্গিপাড়ার আভিজাত্য পরিবারের শিশু হয়ে ওঠে বাঙালির গর্ব– ‘জাতির পিতা’। শৈশব থেকেই ধাপে ধাপে শিক্ষা জীবন হতে সংগ্রামী, সকল স্তরে উচ্চতর – মুক্তিলাভ আশা। তারুণ্যে ব্রিটিশ শাসিত পরাধীনতা ব্যবস্থা নির্মূলে স্বর্ণ যুগের আকাঙ্ক্ষা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী মানচিত্রে আঁকিত নতুন হরেক নামিত দেশ। নিজ মাতৃভাষা ‘বাংলা‘ স্বীকৃতি দিতে জীবন সংগ্রামের ইতিহাস শুরু। ছয় দফা দাবি, ভাষা আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন, নায়কের ভূমিকাটি পরিশেষে মানচিত্রে নতুন স্বাধীন দেশ তৈরীতে একাত্তরে স্বাধীনতার ডাক। নিজ স্বার্থত্যাগে স্বাধীন জাতি গড়তে বহু প্রতিকূল ধাপ পেরিয়ে একাত্তরের সাতই মার্চ গর্জে উঠা ভাষণ আজ আন্তর্জাতিক। সেই ভাষণের ফল বাঙালি চেতনায় জেগে ওঠে বাঘের রূপ। একাত্তরের পঁচিশে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদের নিরীহ বাঙালির উপর বর্বর হামলা প্রতিকারে ‘স্বাধীনতা ঘোষণা’। কারাগারে বন্দি, তবু থেমে নেয় তাঁর স্বাধীনতা প্রাপ্তির কৌশল। অধিনায়কের পরিকল্পনায় দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালির অর্জন ‘স্বাধীন বাংলাদেশ‘। দেশ অভিভাবক ‘জাতির পিতা‘। পরবর্তী একে একে উন্নতির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় দেশ ও জাতিকে। কিন্তু শত্রুদের হিংসাত্মক লালসায় পঁচাত্তরের পনেরো আগষ্ট অমানবিক হামলায় সপরিবারে চির নিদ্রায় অন্তিম ‘জাতির পিতা‘ অধ্যায়। অস্তিত্ব স্মৃতি কিন্তু আদর্শ চলমান। পাতায় লেখা নয় ‘তুমি রবে নীরবে, হৃদয়ে আজীবন বাঙালির চেতনায়‘।