বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় কবি নজরুলের বিচরণ ছিল

চবিতে আলোচনা সভায় উপাচার্য

| মঙ্গলবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও ধূমকেতু পত্রিকার শতবর্ষ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ‘ধূমকেতু পত্রিকার শতবর্ষ : ফিরে দেখা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক। চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ ও দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ।

উপাচার্য বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন প্রেম, দ্রোহ, সাম্য, মৈত্রী ও মানবতার কবি। তাঁর কাছে জাতি ভেদাভেদ ও বৈষম্যের কোন স্থান ছিল না। এ মহান কবি বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, সম্পাদক, চলচ্চিত্রকার ও গায়ক। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘ধূমকেত’ু পত্রিকার মধ্যে দিয়ে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে বিদ্রোহের বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। ‘জয় বাংলা’ তাঁর মুখে প্রথম ধ্বনিত হয়। বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় কবি নজরুলের বিচরণ ছিল। উপাচার্য প্রজন্মের সন্তানসহ সকলকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে চর্চা ও গবেষণায় অধিকতর মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গক্রমে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নজরুলের গানকবিতারণসঙ্গীত বাঙালি জাতিকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল’। এ মহান কবি তাঁর সৃষ্টির মাঝে যুগ যুগ ধরে বাঙালির হৃদয়ে চির জাগরুক থাকবেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন চবি সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনমুন বিনতে জলিল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি শিক্ষার্থী পার্থ প্রতীম মহাজন। অনুষ্ঠানে চবি বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, আইকিউএসি’র পরিচালক, কলেজ পরিদর্শক, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় গোয়াল ঘর থেকে ৩ গরু লুট
পরবর্তী নিবন্ধদৈনিক আজাদী : চট্টগ্রামের সদাদীপ্ত প্রথম প্রহর