বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আজকে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মুখে দাঁড়িপাল্লার জোয়ার উঠেছে। অথচ দীর্ঘ সময় বাংলার জনগণ থেকে দাঁড়িপাল্লা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। পরিবর্তিত বাংলাদেশে দাঁড়িপাল্লা গণমানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে উপনীত হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত চট্টগ্রামের নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে জুলুম সহ্য করেছি আল্লাহর জন্য। পট পরিবর্তনের পর আমরা কারো উপর জুলুম হতে দেয়নি। দেশবাসীকে বলেছি ধৈর্য ধরতে। তারা ধৈর্যের সর্বোচ্চ উদাহারণ তৈরি করেছেন। প্রশাসন ভয় পেত আমরা তাদের সাহায্য করেছি। উৎসাহ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। অনেক তরুণ তাদের জীবনে একটি বারও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তারা অপেক্ষা করছে ভোট দিতে। কেউ তাদের অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আপনাদের পরিণতিও ভালো হবে না। অতীত থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীর গণভোটে যারা হ্যাঁ এর পক্ষে থাকবে তারা অতীতের বস্তাপচা রাজনীতি চায় না । যারা না এর পক্ষ অবলম্বন করবে তারা অতীতের বস্তাপচা রাজনীতি ফিরে আনতে চায়।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা চাঁদাবাজ মুক্ত দেশ গড়তে চাই, আমরা অতীতেও চাঁদাবাজি করি নাই আগামীতেও করবো না ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন আমরা দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই। আমাদের অনেক রাজনৈতিক দল এই কথাটি জোড়ালো ভাবে বলতেও পারে না। কারণ বলতে গেলে তাদেরও হাসি আসবে, জনগণও হাসবে।
আমরা ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ কায়েম করতে চাই। আমরা অনেক জুলুম সহ্য করেছি। আর কোন মানুষ যেন জুলুমে স্বীকার না হয়। আমরা জুলুম মুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। আজকে সকল ইসলাম পন্থী ও দেশ প্রেমিক মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তাদের নিয়ে আমারা যদি দেশ পরিচালনার সুযোগ পাই তাহলে আমাদের কোন এমপি-মন্ত্রী সরকারী কোন বাড়ী গ্রহণ করবেন না, টেক্স বিহীন গাড়ী গ্রহণ করবেন না। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা বিলাসী জীবনযাপন করতে পারে না। বিলাসিতা আল্লাহ পছন্দ করেন না। আমরা আল্লাহর নির্দেশনার আলোকে ন্যায় ভিত্তিক দেশ পরিচালনা করবো ইনশা আল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, “আমার ভোট আমি দিব তোমার ভোটও আমি দেব” এই নীতি আর চলবে না। এবার যার ভোট সে দিবে, যাকে খুশি তাকে দিবে। আমাদের লড়াই হবে মাজলুমের পক্ষে, জালিমের বিপক্ষে। আমরা আর কাউকে জালিম হয়ে উঠতে দিবো না।
বিশেষ অতিথি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর থেকে বাংলার জনগণ এমন এক দেশ দেখতে চাই যেখানে কোন স্বৈরাচারীর জন্ম হবে না, ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না। মানুষ এমন দেশ চায় যেখানে পরিচালকেরা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করবে না। এসব উদাহারণ তৈরী করেছেন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। তাদের উত্তরসুরীদের আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। আপনাদের তাদেরকে বিজয় আসনে বসাতে হবে। আমিরে জামায়াতের নির্দেশনা নিয়ে সকলকে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। যেন তাদের বিজয় নিশ্চিত করা যায়।
তিনি বলেন, এই শহীদের দেশে আর কোন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজকে দেশের পরিচালনায় স্থান দেয়া যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দখলবাজের প্রত্যাখান করবে। ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা-কে বিজয়ী করবে। বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসাবে গড়ে তুলবে ইনশা আল্লাহ।
বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, উত্তর জেলা সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি জাহিদুর ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শামসুজ্জামান হেলালীর যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ,আলহাজ্ব, চট্টগ্রাম ১৫ (সাতকানিয়া- লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান, অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা আমীর ও চট্টগ্রাম ০৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলা উদ্দিন সিকদার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা আমীর মাওলানা আবদুস সালাম আজাদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আলিম, কক্সবাজার জেলা নায়েবে আমীর এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এস এম লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মুহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈমুনুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ ও ড. মাওলানা হেলাল উদ্দিন মুহাম্মদ নোমান, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ৯ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা একেএম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. আবু নাছের, ১১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শফিউল আলম, চট্টগ্রাম ১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট সাইফুল রহমান, চট্টগ্রাম ৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, চট্টগ্রাম ৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মালেক চৌধুরী, চট্টগ্রাম ৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শাহজাহান মন্জু, চট্টগ্রাম ১২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. মুহাম্মদ ফরিদুল আলম, চট্টগ্রাম ১৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম ১৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, কক্সবাজার ১ আসেনর সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শামসুল আলম বাহাদুর, বান্দরবান জেলা সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট আবুল কালাম, রাঙ্গামাটি জেলা সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট মোখতার আহমেদ, খাগড়াছড়ির জেলা সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী।












