জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে যদি আমরা রোবটিঙ শিক্ষা এবং তার ব্যবহার পৌঁছে দিতে পারি তাহলে বাংলাদেশের ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠবে রোবটিক্স। বাংলাদেশে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় রোবটিক্স ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করে এর প্রসার ঘটাতে হবে। তবেই আমরা সফল হবো বলে বিশ্বাস করি। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও অলিম্পিয়াড আয়োজনের মাধ্যমে রোবটিক্স শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মাধ্যমে রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রাম ও সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে রোবটিক্স শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে লোহাগাড়া সদরের মোস্তাফা বেগম গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সাইন্স এন্ড রোবটিক্স অলিম্পিয়াডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী দুইটি পর্বে এ অলিম্পিয়াডটি চলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফ উল্যাহর সভাপতিত্বে অলিম্পিয়াডের প্রথম পর্বের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম ইব্রাহিম কবির, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহিউদ্দিন মাহী, মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এ. কে. এম ফজলুল হক চৌধুরী, আমিরাবাদ সুফিয়া আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, কালাম আজাদ, রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রকৌশলী জাহেদ হোসাইন নোবেল, রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক সুকান্ত শর্মা শিপ্লব এবং লোহাগাড়া উপজেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ইলিয়াছ প্রমুখ। বিকেল ৫টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী এ সায়েন্স এন্ড রোবটিক্স অলিম্পিয়াডে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মিউজুবাস প্রদর্শনী, রোবটিক্স কুইজ প্রতিযোগিতা, রোবট প্রজেক্ট শোকেসিং প্রতিযোগিতা, রোবট তৈরিকরণ ওয়ার্কসপ, ফুটবট প্রতিযোগিতা ও ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন এবং ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৪৩ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।