স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। নিজের প্রথম বাংলাদেশ সফরে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে আজ বুধবার সকালে ঢাকায় আসছেন তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রপতির সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। আজ সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তাকে বিমানবন্দরে দেওয়া হবে গার্ড অব অনার।
এরপর কোবিন্দ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন। সেখান থেকে ফিরে দুপুরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বিকালে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সোনারগাঁও হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এরপর সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, ভারতের রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি টি-৫৫ ট্যাংক এবং একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে উপহার হিসেবে দেবেন। সেখানে রাষ্ট্রপতি হামিদ কর্তৃক আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
সফরের দ্বিতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে অংশ নেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা আশা করছি। কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক এবারের সফরে স্বাক্ষরিত হচ্ছে না।
