বাংলাদেশের সত্যিকারের অনুশীলনটা শুরু আজ

চতুর্থ টি-টোয়েন্টি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১০ মে, ২০২৪ at ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে জিতে চট্টগ্রামেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। তবে যে লক্ষ্যে এই দলটির বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ সেটা সত্যিকার অর্থে পূরণ হয়নি। কারণ দলের টপ অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। বিশেষ করে অধিনায়ক শান্ত, ওপেনার লিটন, তরুণ জাকিররা পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে। তবে বোলাররা কিছুটা হলেও নিজেদের প্রস্তুত করতে পেরেছেন। যেহেতু আগেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে, এখন তাই কেবল নিজেদের প্রস্তুত করার পালা। সত্যিকার অর্থে প্রস্তুতি বলতে যা বুঝায় সেটি নেয়ার সুযোগ এসেছে সামনের দুই ম্যাচে।

চট্টগ্রামের তিন ম্যাচে ব্যর্থতার পরেও লিটন দাশকে রাখা হয়েছে সিরিজের পরের দুই ম্যাচের দলে। কারণ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা। তাই আরো সুযোগ পাচ্ছেন লিটন। সে সাথে দলে ফেরানো হয়েছে সাকিব, সৌম্য সরকার এবং সদ্য আইপিএল ফেরত মোস্তাফিজকে। তাই আজ একেবারে পুরো শক্তির দল নিয়ে নামবে বাংলাদেশ সেটা বলাই যায়। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ টিটোয়েন্টি ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

এদিকে সিরিজ জয় নিশ্চিত হলেও চতুর্থ ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ সতর্ক বলে জানালেন পেসার তাসকিন আহমেদ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মোটেই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নন টাইগাররা। তার মতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় তাদেরকে কোনো কৃতিত্ব দেবে না, কিন্তু হেরে গেলে সমালোচনা শুনতে হবে। ম্যাচের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেন, আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি না। আমরা জিতলে কোনো কৃতিত্ব পাবো না, কিন্তু হেরে গেলে সবাই বলবে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে এবং আমাদের নিয়ে সমালোচনা করা হবে। অবশ্য সমালোচনা করারই কথা। কারণ জিম্বাবুয়ে এখন বিশ্বের দুর্বলতম দলগুলোর একটি। তাসকিন জানান, দলের মূল লক্ষ্য টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আমরা যেখানেই খেলি না কেন আমাদের কাজ হল নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবেকন্ডিশন, প্রতিপক্ষ, আমরা কোন দলের বিপক্ষে খেলছি, কোথায় খেলছি। কি কি বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে আছে। খেলোয়াড় হিসেবে যেখানেই খেলি আমরা সেরাটা দিয়ে থাকি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও ব্যাটিংয়ে হতাশার চিত্র ফুটে উঠেছে। টিটোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যাটিং বলতে যা বুঝায় সেটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের মত মাঝারি মানের বোলিংয়ের বিপক্ষেও ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। তাই সামনের দুই ম্যাচে সে কাজটা করতে হবে। একমাত্র তরুণ তাওহিদ হৃদয়কে বাদ দিলে বাকি ব্যাটাররা টিটোয়েন্টির ব্যাটিং করতে পারেননি। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে বোলাররা ছড়ি ঘুরিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১২৪ রানে অল আউট করে দেয় তাসকিন, শরীফুল, সাইফ উদ্দিনরা। পরের ম্যাচে ১৩৮ রানের বেশি করতে দেয়নি। তবে তৃতীয় ম্যাচে টাইগারদের একটা ঝাঁকুনি দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের ১৬৫ রানের টার্গেট প্রায় ছুঁয়েই ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। সে ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৯ রানে। প্রথম তিনটি ম্যাচে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাসকিন। ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট নেন তিনি। কোনো ম্যাচেই ৪ ওভারে ২১ রানের বেশি দেননি। তবে আজকের ম্যাচে মিশনটা যেন ভিন্ন। এই ম্যাচে অনেকেরই পরীক্ষা হবে। দীর্ঘ দিন পর টিটোয়েন্টিতে ফিরেছেন সাকিব। ইনজুরি কাটিয়ে এসেছেন সৌম্য সরকার। আইপিএল থেকে দারুন ফর্ম নিয়ে ফিরেছেন মোস্তাফিজ। লিটনের জন্য রয়েছে আরেকটি সুযোগ। সে সাথে লড়াইটা অধিনায়ক শান্তর জন্যও। তাই সত্যিকারের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মিশনটা আজ শুরু বাংলাদেশের। যেখানে খানিকটা হলেও নির্ভার স্বাগতিকরা। কারণ সিরিজ হারার ভয় আর নেই তাদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী নদীকে রক্ষা করতে হবে : সিএমপি কমিশনার