বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উড়েছিল

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২ মার্চ, ২০২২ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১ মার্চ হঠাৎ করেই জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে দেশ। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসমাবেশে প্রথম বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। সবুজ, লাল, সোনালি -এই তিন রঙের পতাকাটি সেই যে বাংলার আকাশে উড়েছিল তা আর নামাতে পারেনি পাকিস্তানের সুসজ্জিত সেনাবাহিনী ও সরকার। ‘জয় বাংলা’, ‘পিণ্ডি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ মার্চে বাংলার আকাশ বাতাস স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল। দিকে দিকে শুরু হয় পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো। আর এই সময়টাকেই ছাত্রনেতারা বেছে নিলেন বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনকে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিপূর্ণভাবে রূপান্তর করার মোক্ষম মুহূর্ত হিসেবে। সেদিন পতাকা উত্তোলন করেন ছাত্রনেতারা। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার এবং শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প ঘোষণা করা হয় সেই সভা থেকে। সভা শেষে এক বিরাট শোভাযাত্রা স্বাধীনতার শ্লোগান দিতে দিতে বায়তুল মোকাররমে যায়। দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সচিবালয়ে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা পতাকা ওড়ানো হয়। ওই রাতে বেতারের মাধ্যমে ঢাকা শহরে কারফিউ জারির ঘোষণা আসে। সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ছাত্রাবাস ও শ্রমিক এলাকা থেকে ছাত্র-জনতা ও শ্রমিকরা শ্লোগান দিতে দিতে কারফিউ ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। ডিআইটি এভিনিউর মোড়, মর্নিং-নিউজ পত্রিকা অফিসের সামনে রাত সাড়ে ৯টায় সামরিক বাহিনী জনতার ওপর গুলি চালায়। বিপুল জনতা কারফিউ ভঙ্গ করে গভর্নর হাউজের দিকে এগিয়ে গেলে সেখানেও গুলি চালানো হয়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ ভঙ্গকারীদের ওপর বেপরোয়া গুলি চলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৯ জুন এসএসসি ২২ আগস্ট এইচএসসি পরীক্ষা শুরু
পরবর্তী নিবন্ধজাহাজটি কাটছে কারা