বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল হামিদের আদালতে মামলাটি করেন সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা গ্রামের আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। মামলায় ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫টি মামলায় আসামি করা হয় সাবেক এই এমপিকে।
জানা যায়, মামলায় সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী জায়গা জবরদখল করে নিজ নামে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মাণের নামে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি, চাঁদা দাবি এবং তার নির্দেশে জায়গা দখল করার অভিযোগ করা হয়। মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসামিরা তাকে বিগত দিনগুলোতে ক্ষমতার জোরে চরমভাবে নির্যাতন করেন। তাকে বাড়ি ঘরেও থাকতে দেননি। মামলা হামলা দিয়ে বাড়িঘর ছাড়া করেন।
বাদীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট তকসিমুল গণি ইমন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে এজহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হাওলাদার বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। আদালত থেকে আদেশের কাগজপত্র এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে গত ২৭ আগস্ট বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী ও সরল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাফর আহমদ আহমদ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এর আগে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও ৫ চেয়ারম্যান, এমপি কন্যা সহ দলীয় শতাধিক নেকাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪ জুলাই শফকত চাটগামী ও কালীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক বাদী হয়ে অপর দুটি মামলা করেছিলেন। সব মিলে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৫টি মামলা হয়েছে।