বাঁচার আশা

হ্যাপি ব্যানার্জ্জী | শুক্রবার , ১৯ মার্চ, ২০২১ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

এই পৃথিবীতে সবার সাথে মানিয়ে চলা কখনো সম্ভব নয়। মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা ঠিক ততটুকুই গ্রহণযোগ্য, যতটুকু পাশের মানুষগুলোও মানিয়ে নিতে পারবে। একজনে মানিয়ে নিতে নিতে নিজের মনটাকে ভুলে যেতে বসবে, আর অন্যরা নিজেদের ইচ্ছে চাপাতে চাপাতে নিজেদের খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে বসবে! এইসব নিয়ম কখনো শুরু হতে দেয়া উচিত না।
এই মানিয়ে নাও মানিয়ে নাও কথাটা আমরা যখন কারো উপর চাপিয়ে দিই, দিনশেষে কিন্তু জিজ্ঞেস করি না, মানিয়ে নেয়ার পর তুমি কি আসলেই ভালো আছো? তোমার ভেতর থাকা ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো কি বেঁচে আছে? নাকি মানিয়ে নেয়ার ভিড়ের চাপায় মৃত্যু হয়েছে? ইচ্ছে, স্বপ্ন না থাকলে মানুষ কখনোই স্বাভাবিক নিশ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারত না। আবার এটাও না যে, আমরা সবার নিঃশ্বাসের গভীরতা বুঝি।
এই যে এই শহরের মানুষগুলোর কথায় না হয় বলা যাক। কয়জন মানুষ ভালো আছে এই শহরের চার দেয়ালের মাঝে? হাতে গোনা খুব কম মানুষই ভালো আছে। হ্যাঁ ত্যাগ স্বীকার, মানিয়ে নেওয়া যদি জীবন হয়,তবে এতো এতো না বলা চাপা কষ্টগুলোর মধ্যে, হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন, ইচ্ছেগুলো মানুষ একটু হলেও ফিরে পায় তার সন্তানের মাধ্যমে। এই কষ্ট সহ্য করা মানুষগুলোর মুখে একটুখানি হাসির থাকার পেছনে কারণ হয়ে থাকে তার সন্তান। এই সন্তানকে যখন প্রথমদিন থেকে পরমআদরে বুকে তুলে নেন, তখন মানুষগুলো একটু বাঁচার আশা দেখেন। আর কারো জন্য না হোক, অন্ততপক্ষে তাঁর সন্তানের জন্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি খোলা চিঠি
পরবর্তী নিবন্ধহারালাম অনন্য এক আলোর প্রতিভা