বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান ছাত্রলীগের অপর অংশেরও

চমেক

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুসারীদের পর এবার সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরাও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ৩১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। গতকাল (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্ত প্রত্যাখানের এ তথ্য জানানো হয়। চমেক ছাত্রলীগের প্যাডে আসেফ বিন তাকি, মাহাদি বিন হাসিম, এম এ কাইয়ুম ইমন, ওয়াহেদ মুরাদ শাহীন, মুঈদ সাকিব ও অনির্বাণ দে-এর স্বাক্ষরে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
এতে দাবি করা হয়, চমেকের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃন্যতম ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল। সেদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক ছাত্রনেতা ফজলে রাব্বি সুজনের নেতৃত্বে স্থানীয় সাংসদের নামে স্লোগান সহকারে সন্ত্রাসীরা চমেক ক্যাম্পাস ও ডা. মিজান হোস্টেলে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়জন ইন্টার্ন চিকিৎসক আক্রান্ত হন এবং ক্যাম্পাস ও হোস্টেলের সরকারি সম্পত্তি তারা বিনষ্ট করেন। পুরো ঘটনা ফজলে রাব্বি সুজন তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্ট থেকে লাইভ সমপ্রচার করেন। কিন্তু হাসপাতাল প্রশাসন এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এতে আরো দাবি করা হয়- ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর রাত দশটার দিকে প্রধান ছাত্রাবাসের সি ব্লকের তিন তলায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় সন্ত্রাসী বাহিনী। ঘটনাস্থলে দুজন শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়। হামলাকারীদের বিচার দাবিতে অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। পরদিন ৩০ অক্টোবর অধ্যক্ষের কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে চমেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
বৈঠক চলাকালে ক্যাম্পাসের বাইরে হামলার শিকার হন শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব। ২৯ অক্টোবর রাতের হামলার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশে মাহাদি আকিবকে আহত করা হয়। পরিতাপের বিষয়, ওই সময় অধ্যক্ষের কার্যালয়ের বৈঠকে অংশ নেয়া ছাত্রলীগ নেতাদের সেই মামলার আসামি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে নাছির অনুসারী ছাত্রলীগের এই অংশ দাবি করেছে, গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবরের ঘটনায় একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক ৩১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এতে অনেক নির্দোষ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। চমেক ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে সংঘটিত এসব হামলার পেছনে জনৈক চিকিৎসক নেতা আ ম ম মিনহাজুর রহমানের ইন্ধন রয়েছে অভিযোগ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একাডেমিক কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্ত চমেক ছাত্রলীগ ইতোমধ্যেই প্রত্যাখান করেছে। অনতিবিলম্বে প্রত্যেকটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে চমেক ছাত্রলীগের এই অংশের নেতাকর্মীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় নৌকা না পেয়ে মহাসড়ক অবরোধ
পরবর্তী নিবন্ধচমেক অধ্যক্ষ ও হোস্টেল তত্ত্বাবধায়কের পদত্যাগ দাবি