বস্তা ফুঁড়ে বেরিয়েছে শিকড়

বাজারে মিয়ানমারের নিম্নমানের পেঁয়াজ পাইকারিতে দাম কমেছে, খুচরায় প্রভাব নেই

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমার থেকে নিম্নমানের পেঁয়াজ এসে সয়লাব হয়ে গেছে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার। অধিকাংশ পেঁয়াজের বস্তা ফুঁড়ে শিকড় বেরিয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু আবার পচে গেছে। আড়তদাররা বস্তা খুলে ভালো পেঁয়াজগুলো আলাদা করে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। তবে পাকিস্তান, ভারত ও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ গত কয়েকদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে সর্বোচ্চ ৭ টাকা পর্যন্ত। আড়তদাররা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার থেকে যেসব পেঁয়াজ আসছে, তার ৫০ শতাংশেরই মান খারাপ। ঠান্ডার কারণে মূলত পেঁয়াজের চারা গজিয়ে গেছে।
গতকাল চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৬০ টাকা এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এসব পেঁয়াজের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে ৭ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তবে এর বেশিরভাগই এসেছে মিয়ানমার থেকে। এসব পেঁয়াজ আসতে সময় লাগার কারণে গুণগত মানের পরিবর্তন হয়েছে। বস্তা ফুঁড়ে গজিয়েছে পেঁয়াজের চারা। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ছাড়াও পাকিস্তানের পেঁয়াজও বাজারে প্রবেশ করেছে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস আজাদীকে বলেন, গত এক সপ্তাহের তুলনায় বাজার এখন কিছুটা নিম্নমুখী। সামনে সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমবে। তবে গত এক সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে যা পেঁয়াজ এসেছে, সব কিন্তু বিক্রি করার মতো না। বস্তা থেকে ভালো পেঁয়াজগুলো আলাদা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের কেজিপ্রতি আমদানি খরচও বেড়েছে। এছাড়া বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও বাড়ছে।
এদিকে পাইকারিতে দাম কমতির দিকে থাকলেও খুচরা বাজারে এখনো কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। কাজীর দেউড়ি ভান্ডার স্টোরের খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি কেজি ৯০ টাকা। পাকিস্তাানি পেঁয়াজ বিক্রি করছি কেজি ৮০ টাকা। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজ এখনো পাইনি।
আলাউদ্দিন দস্তগীর নামের একজন ক্রেতা জানান, শুনলাম বন্দর দিয়ে টনে টনে পেঁয়াজ আসছে। কিন্তু বাজারে তো এর প্রভাব লক্ষ্য করছি না। দিন দিন পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পেঁয়াজের দাম গত বছরের মতো সেঞ্চুরি পেরিয়ে যাবে। এমনিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সবচেয়ে কষ্টে আছেন আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা। করোনাকালে সবারই আয় রোজগার কমে গেছে। আবার উল্টো সব জিনিসের দাম বাড়ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিসিবির পেঁয়াজ কিনতে লম্বা লাইন
পরবর্তী নিবন্ধওয়াসার মোড়ে যুবলীগ নেতাকে মারধর ভিডিও ভাইরাল