বসুরহাটে আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ২৯

| বুধবার , ১০ মার্চ, ২০২১ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্য এবং উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গুলিতে ১ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌর এলাকার রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ চলাকালে সেখানে সংঘর্ষ বাধে। সরেজমিনে সংঘর্ষ চলাকালে হাতবোমা বিস্ফোরণ করতে এবং দোকানপাট ও যানবাহন ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সংঘর্ষে তিনিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ ও র‌্যাব লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
গত সোমবার নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান। তিনি বলেছিলেন, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ছিলেন। এ সময় কাদের মির্জা ও তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে তার পাঞ্জাবি টেনে ছিঁড়ে ফেলেন কাদের মির্জা। তাকে বসুরহাট বাজারে যেতেও নিষেধ করেন।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে রূপালী চত্বরে গতকাল বিকাল থেকে সমাবেশ চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে পৌর ভবন থেকে একদল লোক বের হয়ে সমাবেশের লোকজনকে ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
পৌর ভবন থেকে আসা লোকজনকে তারা আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে শনাক্ত করছেন। এরপর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের শারীরিক অবস্থার অবনতি
পরবর্তী নিবন্ধচবির উপাচার্য পদে শিরীণ আখতারের পুনঃনিয়োগ