বসুন্ধরার এমডিকে হত্যাচেষ্টা, পটিয়ার যুবক আটক

| শনিবার , ৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী জুমার নামাজের সময় আনভীরকে গুলি করে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাইফুল ইসলাম সাদ (২৩) নামে চট্টগ্রামের পটিয়ার এক যুবককে আটক করেছে রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাউতুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে তাকে আটক করা হয়। অভিযোগটি তদন্ত করছেন ভাটারা থানার এসআই ও তদন্ত কর্মকর্তা হাসান মাসুদ। তিনি আদালতে অভিযুক্ত সাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ জানিয়েছে, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) পবিত্র জুমার নামাজ চলাকালীন সায়েম সোবহান আনভীরকে গুলি করে হত্যার প্রস্তুতি ছিল তার। এর আগে দুধের মধ্যে বিষ মিশিয়ে এবং ছুরিকাঘাতে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল সংঘবদ্ধ চক্রটি। তবে একাধিকবার চেষ্টা করেও সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় তারা। খবর বাংলানিউজের।
ভাটারা থানার সূত্র জানায়, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে হত্যার পরিকল্পনার খবর পেয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে সাইফুল ইসলাম সাদকে আটক করা হয়। গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। সাদকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এই হত্যা মিশনের মূল হোতাদের বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় তিন মাস ধরে বসুন্ধরা এমডিকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছিল। অন্তত চারবার ছদ্মবেশে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি হাউজে ঢোকে সাদ। কয়েকবার ব্যর্থ হয়ে শেষপর্যন্ত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশ ধরে। ভর্তি হয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাউতুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানায়। কারণ সেই মাদ্রাসা থেকে প্রতিদিন বসুন্ধরা এমডির বাসায় কোরআন খতমের জন্য শিক্ষার্থীরা আসেন। সেই দলের সঙ্গে মিশে জুমার নামাজ পড়ার সময় বসুন্ধরা এমডিকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য শেষ চেষ্টা করে।
মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মুফতি মিসবাহ উদ্দিন সগির জানান, কিছুদিন ধরে সাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হচ্ছিল। এরপর সাদের গতিবিধি কড়া নজরদারিতে রাখছিলেন অধ্যক্ষ। সাদ যে বসুন্ধরার এমডিকে হত্যার মিশন নিয়ে এখানে এসেছিল, তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মীদের বিষয়টি অবহিত করেন।
এ ঘটনায় গতকাল ভাটারা থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) শেখ মিজানুর রহমান বাদি হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেমির আশা জিইয়ে রাখল ভারত
পরবর্তী নিবন্ধউত্তর কোরিয়ায় নেমে আসছে দুর্ভিক্ষ