বর্ণিল সাংগ্রাই উৎসব

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

নানা আায়োজনে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছর বরণ করছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। উৎসবের ২য় দিনে খাগড়াছড়িতে উদযাপিত হচ্ছে মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাই উৎসব। বর্ণিল আয়োজনে উৎসবে মাতোয়ারা মারমা সম্প্রদায়। উৎসবের মূল আর্কষণ জলকেলি বা পানি উৎসব দেখতে বেড়েছে পর্যটক সমাগম। করোনার কারণে দুবছর বন্ধ থাকার পর সাংগ্রাই উৎসবে মেতেছে মারমা জনগোষ্ঠী।
গতকাল বুধবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে মারমা সমপ্রদায়ের এ উৎসব শুরু হয়। সকালে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। খাগড়াছড়ি পানখাইয়া উন্নয়ন সংসদ মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হওয়ার পর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
‘সকল দুঃখ গ্লানি মুছে যাক, সবখানে নবপ্রাণ ফিরে পাক’ এ স্লোগানে উদযাপিত হয় রি-আকাজা বা জল কেলি। এ সময় তরুণ-তরুণী, যুবক ও যুবতীরা সামনের দিনগুলোতে অনাবিল সুখ আর শান্তি কামনা করেন।
উৎসবে অংশ নেয়া এক মারমা তরুণী জানান, সারা বছর আমরা সাংগ্রাই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করি। এটি আমাদের প্রধান উৎসব। তবে গত দুই বছর করোনার কারণে সাংগ্রাই উদযাপন করতে পারিনি। তাই এবার উচ্ছ্বাস বেশি। জলকেলিতে অংশ নিয়েছি। বন্ধুরা মিলে খুব আনন্দ করেছি।
এদিকে সাংগ্রাইসহ বৈসাবি উৎসব দেখতে খাগড়াছড়িতে ভিড় করেছে পর্যটকরা। ঐতিহ্যবাহী উৎসব দেখে মুগ্ধ তারা। পর্যটক শান্তা পাল বলেন, পাহাড়ে এবার উৎসব দেখার জন্য এসেছি। আজকে মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবে অংশ নিয়েছি। অসাধারণ অনুভূতি। এতো কালারফুল আয়োজন।
মারমা ভাষার কবি চিংলামং চৌধুরী জানান, মারমা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দুঃখ-গ্লাানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। সাংগ্রাই মারমাদের প্রধান সামাজিক উৎসব, তবে এতে ধর্মীয় প্রথার মিশ্রণও রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারেকপত্নী জোবাইদার বিরুদ্ধে মামলা চলবে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রদীপ-চুমকির বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ