‘বর্ডার’ নামে ‘ সেন্সর জটিলতা’ মুক্তি পাচ্ছে ‘সুলতানপুর’

| মঙ্গলবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

‘সেন্সর জটিলতা’ কাটিয়ে অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চোরাচালান আর সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবনচক্র নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘সুলতানপুর’। বিশ্বকাপ উন্মাদনা শেষে ‘বর্ডার’ নাম বদলে নতুন নামে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন এর নির্মাতা সৈকত নাসির। খবর বিডিনিউজের।

এর আগে সেপ্টেম্বরে ‘বর্ডার’ নামে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয় সিনেমাটি। সেসময় সিনেমার অনেক জায়গায় সেন্সর নীতিমালার ‘অসংগতি’ রয়েছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, প্রযোজক ও পরিচালক চাইলে এক মাসের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেন্সর বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে আপিল করতে পারবেন। আপিল না করলেও সেন্সর বোডের্র নীতিমালা অনুযায়ী পরিমার্জন করে আবারও সিনেমাটি জমা দেওয়া যাবে। নীতিমালা অনুযায়ী পরিমার্জন করে চলচ্চিত্রটি আবার জমা দেন সৈকত। এবার শুধু মুক্তির অনুমতিই না, বরং বোর্ড সদস্যদের প্রশংসা পেয়েছেন বলে দাবি এ নির্মাতার।

শনিবার সৈকত নাসির বলেন, “বোডের্র সংশোধনীগুলো গুরুত্বের সাথে নিয়ে আমরা সেগুলো সমাধান করে আবার জমা দিয়েছিলাম। এবার বোর্ডের দুই তিনজন সদস্য সিনেমাটা দেখে প্রশংসাও করেছেন। “তারা জানিয়েছেন সিনেমার কনসেপ্ট ও নির্মাণ যেমন সুন্দর হয়েছে, তেমন নান্দনিক ছিল শিল্পীদের অভিনয়। সেন্সর ছাড়পত্র এখনও হাতে পাইনি। রোববার বা সোমবার পাব।” মুক্তির পরিকল্পনা জানতে চাইলে ‘দেশা দ্য লিডার’ খ্যাত এ নির্মাতা বলেন, ‘এখন তো বিশ্বকাপের উম্মাদনা চলছে। বিশ্বকাপ চলাকালে মুক্তি দিব না।

সেই হিসেবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মুক্তি দিব সুলতানপুর।’ সিনেমার নাম শুরুতে ‘বর্ডার’ থাকলেও এখন তা ‘সুলতানপুর’; তবে নাম ও টুকটাক পরিবর্তনে সিনেমার উপর কোনো প্রভাব পড়বে না; পাশাপাশি দেশের দর্শক সিনেমাটি উপভোগ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন নির্মাতা সৈকত নাসির। আসাদ জামানের গল্পে নির্মিত এ সিনেমায় আশীষ খন্দকার, অধরা খান, সুমন ফারুক, সাঞ্চু জন, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধা অভিনয় করেছেন। আশীষ খন্দকার বলেন, আমি খুব বেছে বেছে কাজ করি। এই সিনেমার গল্প এবং আমার চরিত্রটা রহস্যময় ও শক্তিশালী। কাজ করে আনন্দ পেয়েছি। দর্শকের সিনেমাটা ভালো লাগবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপূজার নির্দেশনায় নাচবেন কানাডার হাই কমিশনার
পরবর্তী নিবন্ধএক সিনেমার জন্য ১০০ ঘণ্টা ভিডিও দেখেছিলেন ক্যাটরিনা