বরখাস্ত লিনেকারকে ঘিরে বিবিসিতে অস্থিরতা

সরকারের অভিবাসন নীতির সমালোচনা

| সোমবার , ১৩ মার্চ, ২০২৩ at ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাজ্য সরকারের বিতর্কিত অভিবাসন নীতি নিয়ে সমালোচনার করা গ্যারি লিনেকারকে বরখাস্ত করে ভেতরেবাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বিবিসি। ফুটবল খেলা নিয়ে বিবিসি ওয়ানের আয়োজন ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’র হোস্ট সাবেক তারকা ফুটবলার লিনেকারকে শুক্রবার দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি। মূল উপস্থাপক না থাকার পাশাপাশি তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে অন্য উপস্থাপক ও ভাষ্যকারদের ওয়াক আউটের কারণে শনিবার নিয়মিত ওই প্রোগ্রামে ব্যাঘাত ঘটে। এর জন্য বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি লাইসেন্স ফি দেওয়া দর্শকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন বলে গণমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সরকারের চাপে লিনেকারকে বরখাস্ত করার কথাও অস্বীকার করেছেন ডেভি। খবর বিডিনিউজের।

শনিবার রাতে নির্ধারিত সময়ে ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’ শুরু হলেও সেটি চলে মাত্র ২০ মিনিট। ছিল না কোনো কথোপকথন, বিশ্লেষণ নিয়ে হাজির হননি অ্যালান শিয়ারার বা ইয়ান রাইট, তাদের পরিবর্তে অন্য কাউকে দেখাও যায়নি। শোনা যায়নি বিখ্যাত সূচনা সঙ্গীত, পর্দায় দেখা যায়নি ওপেনিং ক্রেডিটও। অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘প্রিমিয়ার লীগ হাইলাইটস’ লেখা দিয়ে, এরপর সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় বোর্নমাউথ ও লিভারপুলের খেলার অংশবিশেষে। লিনেকারকে বরখাস্ত করা নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি যে কঠিন সময় পার করছে তা স্বীকার নিয়ে এর মহাপরিচালক বলেন, পরিস্থিতি ঠিক করতে চেষ্টা করছি আমরা।

বিবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডেভি আরও বলেন, গ্যারি লিনেকারকে পর্দায় ফেরানোই হবে তার সফলতা। সাবেক এই তারকা ফুটবলারের মতো ফ্রিল্যান্স কর্মীদের রাজনৈতিক পক্ষপাতজনিত নিয়মকানুন পর্যালোচনায় প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছেন তিনি। চাপের কাছে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করবেন না বলেও জানান বিবিসির এই মহাপরিচালক। ডাউনিং স্ট্রিট ও সরকারবিরোধী টুইটে ক্ষিপ্ত মন্ত্রীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে বিবিসির নির্বাহীরা লিনেকারকে সরিয়ে দিয়েছেন বলে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে কাজ করে না।

মঙ্গলবার টুইটারে লিনেকার সরকারের অবৈধ অভিবাসন বিলকে ‘অত্যন্ত নির্দয়’ আখ্যা দিয়ে গত শতকের ৩০ এর দশকে জার্মানিতে দেখা যাওয়া নীতির সঙ্গে এর কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেন। শুক্রবার তাকে বরখাস্ত করার পর বিবিসির নিরপেক্ষতা, সরকারের অভিবাসন নীতি ও বিবিসির চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্পের অবস্থান ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠে। লিনেকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনেকেই অনুষ্ঠান না করার ও চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিলে কেবল ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’ই নয়, আরও অনেক অনুষ্ঠানও বিপাকে পড়ে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক লিনেকারকে ‘মেধাবী উপস্থাপক’ আখ্যা দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিবিসির অভ্যন্তরীণ ঝামেলায় সরকারের হাত নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাশিয়ার কাছ থেকে ‘জঙ্গিবিমান কিনছে ইরান’
পরবর্তী নিবন্ধট্রাম্প আমার পরিবারকে বিপন্ন করেছেন : পেন্স