বন্যাকবলিতদের পাশে দ্রুত এগিয়ে আসা জরুরি

| রবিবার , ২৬ জুন, ২০২২ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

সমপ্রতি টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুরমা আর কুশিয়ারা নদীর কূল উপচে সিলেট- সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েছে ভয়াবহ রূপ। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে নেত্রকোণাও। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়া বন্যা কবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসী কোন উপায় না পেয়ে করতে হচ্ছে হাহাকার। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বড় বিপদে পড়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের লাখ লাখ মানুষ। ঘরে পানি, সড়কে পানি, চারদিকে থইথই পানি।

অনেকে ঘরের ভেতরে কলাগাছ কিংবা বাঁশের ভেলা বানিয়ে সেখানে অবস্থান করছে। বন্যার্ত এসব মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছে। অনেকে অনাহারে-অর্ধাহারে আছে। সিলেট নগরীর সুরমা নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা, সিলেট জেলার সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ জেলার সব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে। তাদের কাছে থাকা সকল খাবার শেষ হয়ে গেছে। এ সময় বানভাসি দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোন বিকল্প নেই।

এ দুঃসময়ে দলমত নির্বিশেষে সবার এগিয়ে আসা উচিত। তেমনি যারা বন্যায় আক্রান্ত হয়নি, তারাও ওই বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণসামগ্রী, খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধ, খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের মাধ্যমে তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে। তাই বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসা দেশের ধনাঢ্য, সমাজের বিত্তবান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সংগতিসম্পন্ন ও মানবিক গুণসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব হচ্ছে, সিলেটসহ সারাদেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। বন্যা উপদ্রুত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে যার যা কিছু আছে, তা নিয়েই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসুন। উদ্ধার কাজ থেকে খাবার বিতরণ সবাই মিলে না করলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে অচিরেই। সবাই একসঙ্গে হাত বাড়ালে এ সংকটের পথ পাড়ি দেওয়া সহজ হবে। ইতিহাস সে কথাই বলে।

মো. মাসুদ হোসেন
চাঁদপুর সদর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাহানারা ইমাম : জ্যোতির্ময় মনীষা শহীদ জননী
পরবর্তী নিবন্ধঅবৈধ উপায়ে টাকা উপার্জন একটি কুরুচিকর জীবনধারা