বন্ধু সবাই হতে পারে। বন্ধু মানেও স্বাধীনতা। বন্ধুত্বের কোন বয়স নেই, সীমারেখা নেই। বাবা বন্ধু হতে পারেন, মা বন্ধু হতে পারেন, দাদা, দিদি, বৌদি, আপু যে কেউই হতে পারেন। দুজন বা একাধিক মানুষের মনের মিল হলে বন্ধু হতেই পারে। যার কাছে সবকিছু অনায়াসে শেয়ার করে আনন্দ পাওয়া যায়, সবকিছু বলে স্বস্তি পাওয়া যায় সেটাই বন্ধুত্ব কিংবা সে বা তারাই বন্ধু।
তবে বন্ধুত্ব মানে কিন্তু সেই স্বাধীনতা শব্দের অপব্যবহার না। একেবারে কাঁধে হাত তুলে দিয়ে বা কলার ধরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে হবে তা মোটেও নয়। কিংবা, বন্ধুত্ব মানে মূল সম্পর্ক থেকে ছুটে যাওয়া নয়। বন্ধুত্ব মানে, সেই মূল সম্পর্কে থেকে বন্ধুত্বটা কে এগিয়ে নিয়ে চলা। বন্ধুত্ব’র পূর্বশর্ত সম্মান তো অবশ্যই। একে অন্যকে শতভাগ সম্মান করা লাগবেই। বড়ভাই বা বোন মানে বড়ভাই বা বড়বোন। আগে তার সম্মান। তার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা। এর পাশাপাশি বন্ধুত্ব। তার কাছে সবকিছু অনায়াসে শেয়ার করা যায়। বলা যায়। কিংবা, একসাথে বসে খাওয়া, আড্ডা দেয়া, মজা করা। অর্থাৎ, তার সাথে আমি ফ্রি। ফ্রি মানে ফ্রিরও একটা মর্যাদা আছে৷ ফ্রি মানে যাচ্ছে তাই না।
এটাই বন্ধুত্ব। এখন, বন্ধুত্ব মানে বড় কাউকে দেখলাম, আরে ও তো আমার বন্ধু বলে ওকে অসম্মান করলাম, পায়ের উপর পা তুলে বসে রইলাম, মাঝে মধ্যে গালি টালি দিলাম, ফুট ফরমায়েশ খাটালাম এটা বন্ধুত্ব নয়। বন্ধুত্ব সবচেয়ে শুদ্ধতম সম্পর্ক দুটো কিংবা অনেকগুলো মানুষের মধ্যে হয়ে থাকে। তাই এর অর্থ বুঝে পূর্ণ মর্যাদা টা ধরে রাখি।












