বন্ধুর অনুরোধ সত্ত্বেও টাইটানের টিকিট না কেটে প্রাণে বাঁচলেন পিতা-পুত্র

| রবিবার , ২৫ জুন, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

ওশানগেট সংস্থার অন্যতম অংশীদার স্টকটন রাশের অনুরোধ সত্ত্বেও টাইটান সাবমেরিনে করে আটলান্টিকের তলদেশে যেতে চাননি আমেরিকার লাস ভেগাসের বাসিন্দা জয় ব্লুম। কাজের ব্যস্ততাকে ঢাল করলেও সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনার মধ্যে অনেক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটি লক্ষ করেছিলেন তিনি। এতদিন পর সে কথা অকপটে স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি প্রাণে বেঁচে যাওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার একটি সাক্ষাৎকারে ব্লুম জানিয়েছেন, তিনি এবং তার ২০ বছর বয়সী পুত্র সিনকে টাইটানে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ প্রত্যক্ষ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বন্ধু স্টকটন রাশ। জানিয়েছিলেন, মৌসুমের শেষ সফরের জন্য আর মাত্র দুটি আসন বাকি আছে। ব্লুম বন্ধুর প্রস্তাব নাকচ করায় ওই দুই আসনের যাত্রী হিসাবে আটলান্টিকের গভীরে পাড়ি দেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার পুত্র সুলেমান। তার পরের ঘটনাপর্ব এখন গোটা বিশ্বই জানে।

অনুমান করা হচ্ছে, জলের প্রবল চাপে টাইটান সাবমারসিবল দুমড়ে গিয়েছিল। এই ধরনের ডুবোযান কার্বন ফাইবার এবং টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়। যদি তাতে কোনো ত্রুটি থাকে বা কোনোভাবে চিড় ধরে তাহলে দুমড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এভাবেই হয়তো শেষের মুহূর্ত ঘনিয়ে এসেছিল টাইটানের। জলের চাপে কোনো মানুষেরই বেঁচে থাকার কথা নয়। উপরন্তু, সামুদ্রিক প্রাণীর আক্রমণও দেহ না পাওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই দুর্ঘটনায় মৃত শাহজাদা এবং তার পুত্রের প্রতি শোকজ্ঞাপন করে টাইটানের প্রযুক্তিগত দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্লুম। তিনি জানান, ভিডিও গেমের একটি জয়স্টিকের মাধ্যমে টাইটানকে নিয়ন্ত্রণ করা হত। এমনকি আপদকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীরা যে ভিতর থেকে টাইটানকে খুলতে পারবেন না, সে কথাও জানতে পারেন ব্লুম। সে সব দিক বিবেচনা করেই, ছেলের উৎসাহ সত্ত্বেও গভীর সমুদ্র অভিযানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও বন্ধু রাশের যে এর পিছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না, সে কথা উল্লেখ করে ব্লুম বলেন, তার কাছে এটা স্বপ্ন ছিল। তিনি খুব ভাল একটা মানুষ। আমি তাকে ভালবাসতাম। কিন্তু তিনি ভীষণ জেদি আর একগুঁয়ে ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনস্বাস্থ্যখাতে বৈশ্বিক নেতৃত্ব দেবে চীন
পরবর্তী নিবন্ধরাশিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বাইডেন