চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে অগ্নিকাণ্ডে এক কন্টেনার আমদানিকৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চীন থেকে আমদানিকৃত ৪০ ফুট দীর্ঘ কন্টেনারটিতে বিভিন্ন ধরনের সুইচ, এলইডি লাইটসহ কয়েক কোটি টাকার নানা সরঞ্জাম ছিল। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে বন্দর কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। এদিকে বড় ধরনের অঘটন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পেয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে রক্ষিত ৪০ ফুট দীর্ঘ একটি কন্টেনারে গতকাল শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। শুরুতে শুধু ধোঁয়া বের হলেও অল্পক্ষণের মধ্যে আগুনের বিস্তার ঘটে। তবে ভাগ্যক্রমে আগুন অন্যান্য কন্টেনারে ছড়ানোর আগে বন্দরের ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। পরে শহরের আরো তিনটি স্টেশন থেকে মোট ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পর সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক আহম্মেদ সিকদার বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে বন্দরের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসসহ ৩টি স্টেশনের ৮টি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে সাড়ে আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের ভেতরে ৪০ ফুট দীর্ঘ একটি কন্টেনারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ছিল।
আগুনে কন্টেনারে থাকা সবজিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বন্দর সচিব বলেন, কন্টেনারটিতে ধোঁয়া দেখা দেয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস খবর দেয়ার পাশাপাশি বন্দরকর্মীরা কন্টেনারটিকে একপাশে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করে। এতে পরবর্তীতে আগুনের বিস্তার ঠেকানো সহজ হয়েছে।
আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানসহ পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (এডমিন) মোহাম্মদ মোমিনুর রশীদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার (মেকানিক্যাল) মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এবং চিফ অডিট অফিসার সন্দিপন চৌধুরী। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, কন্টেনারটির অদূরে অনেকগুলো কন্টেনার থাকলেও ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার কর্মীরা দক্ষতার সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হওয়ায় বড় অঘটন থেকে বন্দর রক্ষা পেয়েছে।