কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমদানি করেও নানা কারণে আটকে যাওয়া ৩৮২ কন্টেনার বোঝাই নষ্ট পণ্য অবশেষে ধ্বংস করার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও আইসিডিতে থাকা এসব পণ্য আজ রোববার থেকে ধ্বংস করা শুরু হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বের নানা দেশ থেকে আমদানিকৃত ১১১ লটে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৬টি রেফার, ৩২টি ড্রাই ও বিভিন্ন অফডকের ২১৪টি ড্রাই কন্টেনারে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল, কফি ইত্যাদি পণ্য রয়েছে।
শুল্কায়ন জটিলতা, মিথ্যা ঘোষণাসহ নানা কারণে এসব চালান খালাস করেননি আমদানিকারকরা। দীর্ঘদিন ধরে পণ্যগুলো কন্টেনারের ভিতরে আটকা থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। সবগুলো পণ্যই নষ্ট। এসব পণ্য ব্যবহারের সুযোগ নেই। পণ্যগুলো নিলামের অযোগ্য। তাই ধ্বংস করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত ধ্বংস কমিটির ২৯ আগস্টের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পণ্যগুলো হালিশহর আনন্দবাজারে চসিকের ডাম্পিং জোনে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড থেকে এসব পণ্য হালিশহরে নিয়ে গিয়ে ক্রমান্বয়ে ধ্বংস করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দরের ইয়ার্ড দখল করে থাকা ৩৮২ কন্টেনার সরিয়ে নেয়ার সুফল মিলবে। দীর্ঘদিন ধরে এসব কন্টেনার সরিয়ে নেয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে আসছিল।