বড়দিনের বন্ধের সাথে বৃহস্পতিবার একদিনের ছুটি নিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি কাটাতে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে ভিড় করছে পর্যটকরা। পর্যটকে মুখরিত হয়েছে খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো। এদিকে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে অবস্থিত সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্রেও পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। ইতোমধ্যে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ দিন সাজেকের সব রিসোর্ট–কটেজের কক্ষ শতভাগ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। যারা বুকিং না নিয়ে সাজেকে বেড়াতে আসবেন; তারা কক্ষ পাবেন না বলে জানিয়েছে সাজেক কটেজ মালিক সমিতি।
পাহাড়, অরণ্য, ঝিরি ঝরনা ও উপত্যকা নিয়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। সারা বছর পর্যটক সমাগম থাকলেও সরকারি ছুটির দিনগুলিতে ভিড় বাড়ে কয়েকগুণ। বড়দিনের বন্ধের সাথে বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি নিলে মিলছে টানা ৪ দিনের ছুটি। এতে ভিড় বেড়েছে আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত ব্রিজ, রিছাং ঝরণাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। সকাল থেকে পর্যটকে মুখরিত পর্যটনকেন্দ্রে যাতায়াত সুবিধার কারণে খাগড়াছড়ি ভ্রমণ শেষে অধিকাংশ যাচ্ছে রাঙামাটি সাজেকে। সাজেকের রুইলুই ও কংলাক পাড়ার অধিকাংশ রির্সোট কটেজ বুকিং হয়ে গেছে। শীতে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কে বেড়াতে আসা পর্যটক মো. তুহিনুর রহমান, হোসেন সাজ্জাদ, নীলুফার আজাদ বলেন, বড়দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়িতে বেড়াতে এসেছি। এখানে চারদিন ঘুরব। আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, ঝুলন্ত ব্রিজে ঘুরে বেড়িয়েছি। খাগড়াছড়ি ভ্রমণ শেষে সাজেকে যাব। এখন শীত তাই বেড়ানোর পরিবেশটাও বেশ সহায়ক।
পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটক সমাগম বাড়লে রাজস্ব আদায় বাড়ার পাশাপাশি অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে বলে মনে করেন তারা। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, সকাল থেকে পর্যটকদের ভিড় দেখছি। আজকে সারাদিনে দুই থেকে আড়াই হাজার পর্যটক ভ্রমণ করতে পারে। শনিবার পর্যন্ত পর্যটকদের এমন ভিড় থাকবে।
অতিথি বাড়ায় খুশি হোটেল ও মোটেল ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইনচার্জ উত্তম কুমার মজুমদার বলেন, পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা ভালো বুকিংও পাচ্ছি। ডিসেম্বর মাসজুড়ে পর্যটকদের এমন ভিড় থাকবে।
রাঙামাটির সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সাজেকে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ থেকে রিসোর্ট–কটেজের কক্ষগুলো আগাম বুকিং হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আজ থেকে ২৯ ডিসেম্বর সব রিসোর্ট কটেজে শতভাগ কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। বুকিং না দিয়ে আসলে স্থানীয় লোকজনের বাড়িঘরে, স্টোররুম ও ক্লাবঘরে থাকতে হবে।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ জানিয়েছেন, আজ থেকে থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যটনকেন্দ্রের ১২০টি রিসোর্ট–কটেজে কোনো কক্ষ খালি নেই।
টানা চার দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়ি ও সাজেকে অন্তত ১৫ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করবে আশা ব্যবসায়ীদের।