বছরে প্রায় ৪ লাখ রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল

সিইআইটিসির সভায় অধ্যাপক ডা. রবিউল

| শনিবার , ১১ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রামের (বিএনএসবি) ৪৬ ও ৪৭তম এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্টের (সিইআইটিসি) ৩৬ ও ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা গতকাল শুক্রবার পাহাড়তলীস্থ ট্রাস্টের ইমরান সেমিনার হলে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। ডা. কিউ.এম ওহিদুল আলমের কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে সভার সূচনা হয়। সিইআইটিসির ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিএনএসবির প্রেসিডেন্ট ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় বিগত দিনে মৃত্যুবরণকারী বেগম মুশতারী শফী, গুলনাহার শহিদ, অধ্যাপক ডা. .এস.এম ফজলুল কবির ও ডা. জাফরুল হক চৌধুরীর শোক প্রস্তাব ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন এস জোহা চৌধুরী। সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন বিএনএসবির অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক, সিইআইটিসির ম্যানেজিং ট্রাস্টি, আইএইচএলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।

নিরীক্ষা প্রতিবেদন পাঠ করেন ট্রেজেরার মি. শওকত হোসেন। সিইআইটিসির মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) মো. গোলাম ফারুকের সার্বিক সহযোগিতায় সভায় মতামত পেশ করে সমর্থন জানান, অধ্যাপক ড.শফিক হায়দার চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার দিলদার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. রিজওয়ান শাহিদী, ফাহিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। সভায় চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল দৈনিক গড়ে ১২শ’ ও বছরে প্রায় ৪ লক্ষাধিক চক্ষু রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে। এছাড়া ৮টি অপারেশন থিয়েটারে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ জন রোগীর চোখের অস্ত্রোপচার হয়ে আসছে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বছরে লক্ষ লক্ষ রোগীকে সেবা প্রদান করা একটি বিশাল কাজ বলেই আমি মনে করি। এই সেবা আরও সহজে রোগীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সকলের আন্তরিক সহযোগিতা এই কাজকে আরো সফলতার দ্বারে পৌঁছে দিবে। ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান এম.. মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। বিশেষ করে যাঁরা জন্মলগ্ন থেকে বিরামহীন এবং নিরলসভাবে যোগ্য হাতে এই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে আছেন। তিনি বলেন, বিএনএসবি ১৯৭২ সাল থেকে দেশে অন্ধত্ব নিবারণ ও নিরাময়ের লক্ষ্যে সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে অবিরামভাবে কাজ করছে। চক্ষু হাসপাতালের অন্যতম প্রকল্প অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এ ব্র্যান্ড নামে যাত্রা শুরু করেছে। আমরা সবাই এই প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হতে পেরে গৌরবান্বিত বোধ করছি। পরে সভায় বিগত দিনে সৎ, সততা ও কর্মদক্ষতায় স্বীকৃতস্বরূপ হাসপাতালে দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে কর্মরত চারজনকে মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৭ বছরে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস
পরবর্তী নিবন্ধসমদর্শিতাকে আলিঙ্গনের ডাক