বঙ্গবন্ধু টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় করবে চীনা কোম্পানি

একটি টিউবের নির্মাণ কাজের সমাপনী অনুষ্ঠান ২৬ নভেম্বর

| বৃহস্পতিবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রায় ৯৮৩ দশমিক ৮২ কোটি টাকার রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পেয়েছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির চলতি বছরের ৩৪তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, আজকের (গতকাল)
বৈঠকে মোট ৮টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সিসিজিপি সভায় বন্দর নগরীতে দেশের প্রথম এই টানেলের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চীনা কোম্পানিটিকে নিয়োগ দিতেসেতু বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব পেশ করলে, তার অনুমোদন দেয়া হয়। খবর বাসসের।
মাহবুব বলেন, প্রস্তাবটির আওতায়, কোম্পানিটিকে প্রায় ৬৫ শতাংশ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে-যার পরিমাণ প্রায় ৬৫৬ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা। অবশিষ্ট ৩৫ শতাংশ অর্থ বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে-যার পরিমাণ প্রায় ৩২৬ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবটির আওতায়, মার্কিন ডলারে বৈদেশিক মুদ্রার অংশটি পরিশোধ করা হবে।
এদিকে বিডিনিউজ জানায়, বঙ্গবন্ধু টানেলের একটি টিউবের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, দ্বিতীয়টিও প্রায় শেষের পথে, সব মিলিয়ে টানেলের কাজ এগিয়েছে ৯৩ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবটির পূর্ত কাজের সমাপনী অনুষ্ঠান হবে আগামী ২৬ নভেম্বর। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকার কথা রয়েছে। তবে টানেলটির কাজ প্রায় শেষের পথে থাকলেও যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কবে নাগাদ এটি খুলে দেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। গতকাল বুধবার প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, টানেলের সামগ্রিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৯৩ শতাংশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষের জোর চেষ্টা চলছে। সাউথ টিউবের পূর্ত কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটির পূর্ত কাজের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন। তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের টানেলের টিউব দুটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। একটির সঙ্গে অপর টিউবের দূরত্ব ১২ মিটারের মত। প্রতিটি টিউবে দুটি করে মোট চারটি লেন রয়েছে। এটির ‘সাউথ টিউব’ দিয়ে আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রাম শহরে এবং উজানের দিকের ‘নর্থ টিউব’ দিয়ে চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমির দিক থেকে আনোয়ারার দিকে যানবাহন চলাচল করবে। টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে থাকছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এছাড়া ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ওভারব্রিজও রয়েছে আনোয়ারা প্রান্তে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক প্রকৌশলী জানান, দুটি টিউবেরই নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু দক্ষিণ টিউবের স্ট্রাকচারাল কাজ পুরো শেষ হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, টানেলের নির্মাণ কাজ অনেকটাই শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু টিউবের অভ্যন্তরে কিছু কাজ বাকি রয়েছে। পুরোদমে আমরা কাজ করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে এটির নির্মাণ কাজ শেষ করা যায়। টানেল নির্মাণের কাজকে চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কোনো সহজ কাজ নয়, সবদিক বিবেচনা এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কাজ শেষ করতে হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ফাইল খুলছে না ব্যাংক
পরবর্তী নিবন্ধবার্থিং নিয়ে দুই জাহাজের ‘যুদ্ধ’