বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অর্থনীতির বর্তমান স্বরূপ

পূর্বা দাশ | মঙ্গলবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানী ২২ পরিবারের তীব্র অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের মূল বিষয়। এই ঔপনবেশিক শোষণ থেকে মুক্তির জন্য বাঙালির স্বায়ত্বশাসন ও অর্থনৈতিক আত্ম নির্ভরতার জন্য তিনি ৬ দফা দাবী পেশ করেছিলেন। পাকিস্তানীরা ৬ দফা কোন অবস্থাতেই মানেনি বলে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে মানুষের কাছে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে একচেটিয়া পুঁজির শোষণের অবসান ঘটিয়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন একটি কল্যাণকামী অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ১৯৭৫ সালে তিনি কৃষিক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সমবায় চালু করার যুগান্তকারী কর্মসূচীসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উৎপাদন ব্যবস্থা ভিত্তি সম্প্রসারণ করার পদক্ষেপ নেন। অবাধ অর্থনীতির বিকাশ বন্ধ করেন। সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর অবাধ অর্থনীতির ধারা পুনরায় চালু হয়। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে নয়া উদারবাদিতার নামে দেশে বিশেষ করে অর্থনীতিতে চলছে বঙ্গবন্ধুর নীতি বিরুদ্ধ চরম বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য। সম্প্রতিক অর্থনৈতিক অবব্যস্থা ও দূর্বৃত্তায়নের ফলে মুদ্রা ও মূল্যষ্ফিতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ এ জন্য অংশত দায়ী মাত্র।
মুদ্রাস্ফীতিকে অর্থনীতিবিদরা বিভিন্নভাবে সজ্ঞায়িত করেছেন। সবচেয়ে সহজবোধ্য সংজ্ঞা হলো অর্থের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পাওয়া ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া। মুদ্রাস্ফীতি এমন একটি পরিস্থিতি যখন অধিক পরিমাণ অর্থ স্বল্প পরিমাণ দ্রব্যের পেছনে ধাবিত হয়। উৎপাদনের পরিমান স্থির থেকে মোট চাহিদা যখন বেড়ে যায় তখন দাম স্তর বাড়ে, পূর্ণ নিয়োগ অবস্থায় একে প্রকৃত মুদ্রাস্ফীতি বলে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা নিয়ন্ত্রণ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে। সরকারি হিসেবে এটা ৬ থেকে ৭ শতাংশ বলা হলেও বিভিন্ন অর্থনীতিবিদদের ধারনায় তা অনেক বেশি, প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশের মত। তাই এই মুহুর্তে বাংলাদেশের জন্য মুদ্রাস্ফীতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণগুলো যদি আমরা একটু খতিয়ে দেখি তাহলে দেখব সরকারের বড় বা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যয় বৃদ্ধি এর অন্যতম প্রধান কারণ। এসব ক্ষেত্রে বিশেষ করে অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন প্রকল্প এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় অনেক বেশি। কিন্তু এগুলো থেকে আর্থিক সুফল পাওয়া সময় সাপেক্ষ। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ফলে অর্থের প্রবাহ বাড়ছে। চাহিদা বাড়ছে কিন্তু পণ্য সরবরাহ বাড়ছে না। এটাই বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি বা মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ও বহুমুখী ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সাফল্য মুদ্রাস্ফীতিকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
কিন্তু কৃষিক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহে বিভিন্ন সমস্যা বিদ্যমান। কৃষি উপকরণের দাম ও খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। গুদাম ঘরের অভাবে তারা পণ্য উৎপাদন করেও সংরক্ষণ করতে না পেরে কম দামে মৌসুমে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। দালাল এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এখনো প্রবল। মধ্যস্বত্বভোগীরা কম মূল্যে পণ্য ক্রয় করে নিয়ে শহরের বাজারে বেশি দামে বিক্রী করছে। বাজারও পরিবহনে বিভিন্ন স্তরে চাঁদাবাজদের প্রভাব রয়েছে। ফলে উৎপাদনের যে সাফল্য কৃষকরা অক্লান্ত পরিশ্রমে ঘটাচ্ছে তার ন্যায্য মূল্য থেকে তারা বষ্ণিত হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে পণ্য সামগ্রী মজুদ করে পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। এর ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগানের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এতে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। মজুতদাররা নিজেদের লাভের জন্য বিনাকারণে জিনিসপত্রেরও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। জনজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে, দরিদ্র ও মধ্যবিত্তসহ বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
অযৌক্তিক ঋণের প্রবাহ বা সম্প্রসারণমূলক ঋণনীতির ফলে প্রচুর ঋণ সরবরাহ করা হচ্ছে যা উৎপাদন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে না। এ সব ঋণ চাহিদা বাড়াচ্ছে এবং যোগানের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামস্তর বাড়ছে। বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ অর্থনীতিতে আর্থিক আয় প্রবাহ বাড়ায়, সে তুলনায় উৎপাদন বাড়ে না। পরোক্ষ করের বোঝা দিন দিন বেড়ে চলেছে, ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। প্রত্যক্ষ কর যা আয় ও সম্পদের উপর ধার্য করা হয় তা বেশির ভাগ ধনীরাই বহন করার কথা কিন্তু কর্পোরেট ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ কর যতটুকু আদায় করার কথা বা নির্ধারণ করা হয় তা কোন সময়ই লক্ষমাত্রা পূরণ করতে পারে না। কারণ বিভিন্ন উপায়ে অতি ধনীদের কর ফাঁকি, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির কারণে তা আদায় করা সহজ হয় না। অতিমারির কারণে যখন জীবন ও জীবিকার জন্য দেশের বৃহত্তর অংশের মানুষ অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তখন মূল্য বৃদ্ধির ধাক্কায় নাজেহাল নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, পৃথিবীব্যাপী মন্দাবস্থা, পেট্রোল ও জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বেড়ে চলেছে। একদিকে বাড়ছে পণ্যের দাম অন্যদিকে ব্যাংক সুদের হার কমছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি চরম সংকটে দিন যাপন করছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, নির্দিষ্ট আয়ের লোক, মজুরও শ্রমিক শ্রেণিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আবার অন্যদিকে ব্যবসায়ী, মজুতদার কালোবাজারী, সিন্ডিকেট ব্যবসারীরা গড়ে তুলছে মুনাফার পাহাড়। এতে আয় বৈষম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সামাজিক বিশৃংঙ্খলা, দুর্নীতি, কালোবাজারি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন দেশে এক অসুস্থ পরিবেশ সৃস্টি করেছে। বিদেশী ঋণ গ্রহণের যে কুফল তা থেকে দেশ সরে আসার চেষ্টা করছে। পদ্মা সেতুর মত লাভজনক এবং দেশীয় তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠা প্রকল্পগুলোর জন্য বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ দিতে হয়। দুর্নীতি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দূর্বৃত্তায়ন, এসব দমন করতে পারলে আমরা আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দেশীয় অর্থে সম্পন্ন করতে পারবো। কোভিড পরবর্তী সংকট, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থনৈতিক চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে দেশকে। ফলে দেশের অধিকাংশ জনগণ দাম বৃদ্ধির আতংকে ভুগছে। তাই এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের পথ আমাদের খুঁজে নিতে হবে।
সবচেয়ে আগে প্রয়োজন মজুতদারি, সিন্ডিকেট ও কালোবাজারীদের কঠোর হাত দমন করা। মূল্যস্ফীতির এই সংকট কারা তৈরি করছে তা চিহ্নিত করা দরকার এবং তাদের দমন করা একান্ত প্রয়োজন। এখনই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয়া প্রয়োজন যাতে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক চাপে ঋণের অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া না হয় যা খেলাপী ঋণে পরিণত হতে পারে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সহনীয় দামে বিক্রীর জন্য সরকার যে সরবরাহ কেন্দ্র বা টিসিবির পণ্য সরবরাহ কেন্দ্র করেছে তা আরও জোরদার করতে হবে। জরুরী ভিত্তিতে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। প্রয়োজন ও অবস্থা অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রীর সর্ব্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দিয়ে বাজার কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে যাতে বাজারে চাঁদাবাজি, মজুদদারী এবং মূল্য বৃদ্ধির অশুভ চক্রান্ত ও কৃত্রিম সংকট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
প্রকৃত কৃষকদের হাতে কৃষিঋণ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত সংখ্যক গুদামঘর নির্মাণ, দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিলুপ্তি সাধন, কম খরচে পণ্য বাজারে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা দরকার। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করলে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে, সাথে সাথে মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা হ্রাস পাবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত মজুদ ভান্ডার গড়ে তোলা দরকার যাতে খাদ্যসংকট না হয়। এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ কর আদায় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে যাতে করের বোঝা বিশেষ করে পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে কমানো যায়। কারণ পরোক্ষ করের বোঝা সাধারণত পণ্য মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ জনগণের উপর এসে পড়ে। পরোক্ষ করের বোঝা কমিয়ে সম্পদশালী ব্যক্তি ও কর্পোরেট খাতের আয়কর আরো বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কর্পোরেট করের বিশাল ফাঁকি কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল ব্যাংকিং খাতের সীমাহীন অব্যবস্থাপনা ও খেলাপী ঋণের নামে এক ধরনের লুটপাট ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্তৃত্বহীনতা। বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক মালিকদের দাপট ও জবরদস্তি সব মিলিয়ে এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে ব্যাংকিং খাতে এবং নানা কৌশলে পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। অতি সম্প্রতি ইউনিয়ন ব্যাংক প্রদত্ত ঋণ ৯০শতাংশ খেলাপীতে পরিণত হয়েছে এবং পুরো ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে যাবার পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা বেশিরভাগ বেসরকারী ব্যাংকে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সম্প্রতি ঋণ খেলাপীদের সামান্য কিস্তি শোধ করে ঋণ পরিশোধ করার সুবিধা দেওয়া এবং খেলাপী ঋণের বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যাংক মালিকদের বা ব্যাংকে পরিচালনা পরিষদের হাতে তুলে দেয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত খেলাপী ঋণ আদায় কার্যক্রমকে আরো দুর্বল করে তুলেছে। এ যেন শেয়ালকে মুরগী পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করা, যা আর্থিক নীতিকে চরম সংকটের মুখে ফেলে দিয়েছে। শিল্পখাতে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য শিল্পের বিশেষ করে লাভজনক শিল্পের কাঁচামাল বিনিয়োগ কারীদের জন্য আমদানী করতে হবে ও একই সাথে অপ্রয়োজনীয় বিলাস দ্রব্যের আমদানী বন্ধ করা প্রয়োজন। রপ্তানীক্ষেত্রে বিদেশী ক্রেতারা যাতে কোনরকম অনিশ্চয়তার সম্মুখীন না হয় সে জন্য কাঁচামাল আমদানী নিশ্চিত করনের পদক্ষেপ নিতে হবে। আর্থিক বিপর্যয় মোকাবেলায় কৃষিখাতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে এবং বর্তমান সরকারের আমলে কৃষিখাতের যে সাফল্য তা ধরে রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
তবে যতই আলোচনা করি না কেন প্রচলিত লুটেরা নয়া উদারবাদী অর্থনীতি চালু রেখে এবং তা শক্তিশালী করে আর্থিক দুরবস্থা, অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর করা এক কথায় অসম্ভব। প্রথমেই উল্লেখিত কল্যাণকামী অর্থনীতির যে ধারা বঙ্গবন্ধু চালু করতে চেয়েছিলেন-যেমন কৃষিক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সমবায়, রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাপ্তি ও শক্তি বাড়ানো, অবৈতনিক বিজ্ঞান মনস্ক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা ইত্যাদি বিষয় পুনরায় চালু ও শক্তিশালী করে দেশকে প্রকৃত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়া যায়। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ কায়েম করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সম্ভব।

লেখক: অবসর প্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, বোয়ালখালী এস.আই. ডিগ্রী কলেজ, অর্থ-সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্তধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি এবং সুফিবাদ
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় শিক্ষা নীতি ও প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা