চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, বাঙালি মানেই কবি। প্রতিটি বাঙালি জীবনে এক লাইন হলেও কবিতা লেখার চেষ্টা করে। কবিতা বাঙালির বিদ্রোহের হাতিয়ার। বঙ্গবন্ধুও কবি। তিনি আমাদের রাজনীতির কবি, আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গতকাল বিকেলে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে কবিতা উৎসব ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে হাটখোলা ফাউন্ডেশন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সংস্কৃতি দিয়ে আমরা সকল অপসংস্কৃতিকে রুখে দেব। বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দেব নতুন প্রজন্মের মননে।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম বেতারের কর্মকর্তা ও শিল্পী আবদুর রহিম। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষা, বাঙালি ও বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একাত্তরের আগে জাতি হিসেবে বাঙালিরা কখনো স্বাধীন ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি ঐতিহাসিক কবিতা। এই ভাষণ প্রতিটি বাঙালির মনে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিল।
এম এ সালাম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আমরা যদি সবাই নিজেদের সেইভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে এই মুজিব শতবর্ষ সফল হবে। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু কোনো গোষ্ঠী বা দলের নয়, তিনি সকল বাঙালির।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাটখোলা ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি কাজী রুনু বিলকিস। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কবি ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ। অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন কবি ইউসুফ মোহাম্মদ।
এতে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন, কবি স্বপন দত্ত, ওমর কায়সার, আবু মুসা চৌধুরী, রিজোয়ান মাহমুদ, জিন্নাহ চৌধুরী, কামরুল হাসান বাদল, সেলিনা শেলী, শুকলাল দাশ, ভাগ্যধন বড়ুয়া, মনিরুল মনির, আলী প্রয়াস, শাহীন মাহমুদ, আজিজ কাজল, মাইনুর নাহার।
কবিতা আবৃত্তি করেন রাশেদ হাসান, কংকন দাশ, মিশফাক রাসেল, ফারুক তাহের, বিশ্বজিৎ পাল, সেলিম রেজা সাগর, এটিএম সাইফুর রহমান, রুনা চৌধুরী, বর্ষা চৌধুরী, সেঁজুতি বড়ুয়া, উমেসিং মারমা উর্মি। সংগীত পরিবেশন করেন আবদুর রহিম, শাহরিয়ার খালেদ, লাকী দাস। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিল আশা অর্কেস্ট্রা।