বই পড়ুন জীবন গড়ুন

তসলিম খাঁ | মঙ্গলবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সুখী ও আনন্দময় জীবনের জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। বই মনের জগতকে প্রসারিত করে। বই মানুষকে আলোকিত করে তুলতে পারে। শিক্ষা, নীতি-আদর্শ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা, সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ সবকিছুই রয়েছে বইয়ের ভেতরে।
বইয়ের মধ্যেই আছে সব ধরনের জ্ঞান। তাই জীবনের জন্য বই প্রয়োজন। প্রত্যেকের জীবনেই একঘেঁয়েমি, দুঃখ-কষ্ট, অস্থিরতা, মানসিক সমস্যাসহ নানা সমস্যা থাকে। বই পড়ার মতো নির্মল আনন্দ ও জ্ঞানচর্চা মানুষকে যেমন মহৎপ্রাণ করে তোলে, তেমনি চিত্তকে মুক্তি দেয়। জীবনবোধে বিকশিত করে। জাগ্রত করে মনুষ্যত্ববোধে। জীবনের সুশৃঙ্খল ও পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানার্জন এবং পরিপূর্ণ মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে হলে অবশ্যই বই পড়া প্রয়োজন।। কারণ সব জ্ঞানের উৎস বই।
একটি সুস্থ, সুন্দর জাতি গঠন করতে হলে অবশ্যই বই পড়তে হবে। বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বই মানুষের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটায়। বড় মনের মানুষ হওয়ার জন্য বইয়ের সান্নিধ্যে আসতেই হবে। একজন লেখক তার সুপ্ত ভাবনাকে লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। কবি-সাহিত্যিক-লেখকেরা তাদের সমস্ত জ্ঞান বইয়ের পাতায় ঢেলে দেন। বই পড়ে সেই জ্ঞানের আলো সংগ্রহ করা যায়। বই পড়া মানুষের কাছেই দেশের ভবিষ্যৎ নিরাপদ থাকবে। যারা সমাজে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে, তারা বই পড়া থেকে দূরে রয়েছে। বই পড়া থেকে দূরে সরে গিয়েই বিভ্রান্তির পথে চলে যায় মানুষ। আমাদের জানতে হবে, বই শুধু মানুষের মেধা বা জ্ঞান বৃদ্ধি করে না, বরং বই পড়লে মানুষ হয়ে ওঠে কর্মোদ্যম, সহনশীল ও সহমর্মী। মানুষ বই পড়েই নিজেকে জানতে পারে এবং নিজের জীবনকে আলোকিত করে তুলতে পারে। একটি ভালো বই যে কোনো সময় যে কোনো মানুষকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিতে পারে। উন্নত জাতি ও রাষ্ট্র গড়তে হলে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। হতে হবে আলোকিত মানুষ। নতুন প্রজন্মকে যত বেশি বই পাঠে উৎসাহিত করা যাবে, ততই তারা জ্ঞানসমৃদ্ধ হবে। তরুণ প্রজন্মকে যোগ্য করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার বই। তাই বই পাঠের বিকল্প কিছু নেই। জ্ঞানী হতে চাইলে, আলোকিত মানুষ হতে হলে অবশ্যই বই পড়তে হবে। তাই প্রতিটি পুরস্কার হোক বই। প্রতিটি উপহার হোক বই। তবেই আমাদের জীবন হবে সুন্দর। বই এমন একটি উপকরণ যা পড়ার পড়ে যত্ন করে সাজিয়ে রাখা যায়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম চাইলে সেই বই পড়তে পারে। তাই আসুন, আমরা বইকে ভালোবাসি এবং বই পড়ি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফুটওভার ব্রিজের সঠিক ব্যবহার চাই
পরবর্তী নিবন্ধফেসবুক