৩০ পিস ইয়াবা নিয়ে আটক হয়েছিলেন গেন্ডারিয়ার বসুবাজার লেনের বাসিন্দা রাজিব হোসেন রাজু (৩৪)। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছিল। তিন বছর তিন মাস পর গতকাল সেই মামলার রায় এসেছে। তবে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডের মত গতানুগতিক কোনো রায় আসেনি মামলায়। বিচারক যে সাজা দিয়েছেন, তাতে রাজুকে মূলত নৈতিকতা সংশোধনের জন্য কিছু কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত হতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, রাজুকে এক বছরের জন্য প্রবেশন দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাকে মুক্তিযুদ্ধ ও নৈতিকতার ওপর চারটি বই পড়তে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি চলচ্চিত্র দেখতে হবে। পাশাপাশি লাগাতে হবে পাঁচটি গাছ। এর সঙ্গে কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে তাকে। সেসব শর্ত ভঙ্গ করলে তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, আসামি যদি এই শর্তগুলোর কোনোটি ভঙ্গ করেন কিংবা তার আচরণ সন্তোষজনক না হয়, তাহলে তার প্রবেশন বাতিল হবে। সেক্ষেত্রে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে প্রবেশনের এক বছর সময়ে তিনি সন্তোষজনক আচরণ করলে তার জন্য সুফল পাবেন। চাকরি বা অন্য কিছু করতে গেলে তিনি কোনোভাবে অযোগ্য বিবেচিত হবেন না। ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার এ ব্যতিক্রমধর্মী দণ্ড দিয়ে রাজুর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান।