বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

সাজ্জাদ হুসাইন | বৃহস্পতিবার , ১০ মার্চ, ২০২২ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

বই হলো জ্ঞানার্জন ও সংরক্ষণের প্রাথমিক এবং মূল কেন্দ্রস্থল। বই হলো জ্ঞানাহরণের চারণভূমি। এখানে যে যত বেশি বিচরণ করবে তার জ্ঞানের পরিধি তত ব্যাপৃত হবে। একটি ভালো বই মানুষের মনশ্চক্ষু যেমন খুলে দেয় তেমনি জ্ঞান ও বুদ্ধিকে প্রসারিত ও বিকশিত করে মনের গভীরে আলো জ্বালাতে সাহায্য করে। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না। একটা বই শুধু তথ্য দেয় না, জন্ম দেয় অজস্র প্রশ্নের এবং খোরাক জোগায় নতুন করে চিন্তা করার। বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান বৃদ্ধি হয়, মানসিক উদ্দীপনা তৈরি হয়, অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়, কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি হয়, স্মরণ শক্তির বৃদ্ধি ঘটে, একাগ্রতা বৃদ্ধি করে, মানসিক প্রশান্তি দান করে, সহানুভূতি বোধ ও আত্মসম্মান বোধ তৈরি করে। একটা সময় ছিলো যখন মানুষ বই পড়তে ভালোবাসতেন। বই হয়ে উঠতো মানুষের বন্ধু। মানুষকে একাকীত্ব গ্রাস করতো না। বর্তমানে মানুষের জীবনে প্রযুক্তিনির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় বই পড়ার সময় বা সুযোগ কমে যাচ্ছে। অনেকেই টেকনোলজির নীল দুনিয়ায় অপ্রয়োজনীয় কাজে বুঁদ হয়ে বই থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। জ্ঞানচর্চা তথা বই পড়া থেকে দূরে সরে গিয়ে আজ আমরা এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দিন দিন অজ্ঞতার অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছি। জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান। অজ্ঞতা অন্ধকারের শামিল। আলোকিত মানুষ হতে হলে ‘পড়ার’ বিকল্প নেই। তাই আসুন নিজেকে আলোকিত করতে বই পড়ি এবং অন্যদেরকে বই পড়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করি যাতে অন্যরাও হয়ে ওঠে আলোকিত মানুষ।
লেখক: শিক্ষার্থী

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্লাস্টিক নিষিদ্ধ আইনের বাস্তবায়ন কতদূর?
পরবর্তী নিবন্ধদ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে সাধারণ মানুষ দিশেহারা