চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ফ্রেন্ডস ক্লাব এবং সিটি কর্পোরেশন একাদশ। ফ্রেন্ডস ক্লাব হেরেছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে আর সিটি কর্পোরেশন একাদশ হেরেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে। গতকাল লিগে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন একাদশ। তাও একেবারে প্রতিপক্ষ ফ্রেন্ডস ক্লাবকে উড়িয়ে দিয়ে। আগের দিন এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের উইকেটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ২৮৫ রান করেছিল। গতকাল সে রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন একাদশ। তারা সংগ্রহ করে ৩১১ রান। যা এবারের লিগে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। যদিও জয়টা বড় ছিল মুক্তিযোদ্ধার। তবে গতকাল সিটি কর্পোরেশন একাদশও বড় জয় পেয়েছে। তারা ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ফ্রেন্ডস ক্লাবকে হারিয়েছে সিটি কর্পোরেশন একাদশ।
সকালে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে সিটি কর্পোরেশন একাদশ। তবে ফ্রেন্ডস ক্লাবের অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিলনা সেটা যতই সময় গড়াচ্ছিল ততই প্রমান করছিল সিটি কর্পোরেশন একাদশের দুই ওপেনার রোকন এবং পিনাক ঘোষ। শুরুতে কিচুটা ধীরে চললেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে ব্যাট করতে থাকে দুজন। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৯০ রান। ৩২ রান করা পিনাক ঘোষকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন আসাদুজ্জামান। এরপর লিখন এবং রোকন মিলে যোগ করেন ৪৮ রান। ১৮ রান করে ফিরেন লিখন। তবে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া রোকন দারুণ ব্যাট করছিলেন। দলকে ১৭৬ রানে পৌঁছে দিয়ে রোকন ফিরেন ৮৪ রান করে। তার ৯৯ বলের ইনিংসে ৮টি চার এবং একটি ছক্কার মার ছিল। এরপর ৩৭ রান করা আরিফুল ইসলাম ফিরে এলে ২০৬ রানে ৫ উইকেট হারায় সিটি কর্পোরেশন। এরপর জুটি বাধেন আরিফ রেজা এবং শাহাদাত হোসেন। দুজন মিলে ৫৮ বলে ১০২ রানের জুটি গড়ে দলকে পৌঁছে দেন তিনশ রানের উপরে। শাহাদাত ২৫ বলে ৪২ রান করে ফিরলেও আরিফ রেজা অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৬৩ রান করে। তিনি ৭টি চার এবং ২টি ছক্কা মারেন। আর তাতেই সিটি কর্পোরেশন একাদশের ইনিংস গিয়ে পৌছে ৩১১ রানে। ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষে ছয়জন বোলারই নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
৩১২ রানের বিশাল লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার ফারদিন খানকে। রানের খাতা খোলার আগেই রান আউট হয়ে ফিরেন ফারদিন। এরপর মাহফিজুল ইসলাম একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানার চেষ্টা করলেও অপর প্রান্তে তাকে কেউ তেমন সঙ্গ দিতে পারছিলেননা। আকিব আলি, তাহজিবুল ইসলাম এবং সুজন দাশ ফিরেন যথাক্রমে ১০, ১৪ এবং ১ রান করে। দলকে ৯৯ রানে রেখে পঞ্চম উইকেট হিসেবে ফিরেন মাহফিজুল। ৪৮ বলে ৪টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ রান করেন এই ওপেনার। এরপর বলতে গেলে দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন জোসি। তিনি একাই লড়ে গেছেন সিটি কর্পোরেশনের বোলারদের বিপক্ষে। কিন্তু বড় পরাজয় থেকে দলকে বাঁচাতে পারেনি। নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করার পর ৮৭ বলে ৫৮ রান করে ফিরেন জোসি। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেওয়া সাদমান ফিরেন ২৭ রান করে। শেষ পর্যন্ত ৪২.২ ওভারে ১৭৭ রানে অল আউট হয় ফ্রেন্ডস ক্লাব। সিটি কর্পোরেশন একাদশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রনি চৌধুরী, মনজুরুল আলম এবং সাজ্জাদ হোসেন।