ফেসবুকে কিডনি ও লিভার বিক্রির ফাঁদ

প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার খুলশীতে মূল হোতাসহ চক্রের ৩ সদস্য আটক

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কিডনি ও লিভার বিক্রির প্রচারণা চালিয়ে আগ্রহী করে তুলতো তারা ডোনারদের। টাকার লোভে পড়ে এমন ফাঁদে পা দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় কিডনি ডোনেট করার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। তবে শুধু সাইফুলই নন, এমন অনেক অসহায় লোকের কিডনি ও লিভার ভারতে পাচার করে আসছিল তারা। র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় নগরীর খুলশীতে ইন্ডিয়ান ভিসা অফিসের সামনে থেকে পাচার চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করে র‌্যাব-৭। আটকরা হল মোহাম্মদ আলী ডালিম (৩৫), মো. আতিকুর রহমান রনি (৩৬) ও মো. আলম হোসেন (৩৮)।
র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, কিডনি ও লিভার পাচারকারী তিন সদস্যের মধ্যে রনি আন্তর্জাতিকভাবে এ কাজে সম্পৃক্ত। করোনা মহামারির কারণে এত দিন যারা প্রবাসে ছিলেন তাঁদের অনেকেই বর্তমানে দেশে ফিরে এসেছেন। এর আগে প্রবাসীদের অনেকেই বিদেশে যাওয়ার আগে বিভিন্ন জনের কাছে ধার দেনা করে গেছেন। দেশে ফিরে আর্থিক সমস্যায় পড়া এ ধরনের লোকদেরই মূলত তারা টার্গেট করেন। পাশাপাশি দরিদ্র লোকদেরও টার্গেট করেন তারা। বাংলাদেশে এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা ডালিম। ভারতে অবস্থান করা পাচারকারী চক্রের শাহিন নামে এক ব্যক্তি বাংলাদেশে রনি, আলমসহ অন্যদের মাধ্যমে কিডনি ও লিভারের ডোনার সংগ্রহ করে থাকেন। ডোনার সংগ্রহ করে তাদের ভারতে পাচারের ব্যবস্থা করে চক্রটির লোকজন।
র‌্যাব-৭’র জনসংযোগ কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, কিডনির ডোনারদের মোটা অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়ে ভারতে পাঠানো হয়। এ জন্য তাদের পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়াসহ সব ব্যবস্থা করে চক্রটির লোকজন। প্রতি কিডনি ডোনারের সঙ্গে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় মৌখিক চুক্তি হতো। আর চক্রটি কিডনি বিক্রির জন্য ভারতীয় এজেন্টদের কাছ থেকে নিত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযে কারণে বিরোধ নগর আওয়ামী লীগে
পরবর্তী নিবন্ধউৎসব নয়, বিতরণ শুরু আজ