ফের ভোট বর্জনের পথে বিএনপি ‘যাচ্ছে না’ ইউপি নির্বাচনে

| সোমবার , ১ মার্চ, ২০২১ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

পৌরসভাসহ সামপ্রতিক স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিলেও আসছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। নির্বাচন ‘নিরপেক্ষ’ হচ্ছে না বলেই এই সিদ্ধান্ত বলে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি বিভিন্ন নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছিল। খবর বিডিনিউজের।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোট চুরির অভিযোগ তুললেও পরে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়ে যাচ্ছিল দলটি। সমপ্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিল। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক দেখা যাবে না।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এখানে অন্তত সরকার একটা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার ব্যবস্থা করবেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদসহ পৌরসভা-উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে যা হয়েছে, এত ফ্রাসট্রেটিং যে, আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদের অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি আমরা দলীয়ভাবে।’
আগামীতে সব নির্বাচনেই বর্জন করবেন কি না- প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা আমাদের স্ট্যাডিং কমিটির সিদ্ধান্ত হলে আপনাদেরকে জানাব। এখন পর্যন্ত আমাদের পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমরা আর দলগতভাবে যাচ্ছি না। ইউনিয়ন পরিষদে আমাদের দলের কাউকে মনোনয়ন আর দিচ্ছি না।
এতদিন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই চরম প্রতিকূল অবস্থায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সমপ্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশন কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করবার যোগ্য নয়। বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই এই নির্বাচন কমিশনের কাজ। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ফখরুল। শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে মহাসচিব ফখরুল ছাড়াও ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসার্বিক পরিস্থিতি এখনো পর্যবেক্ষণ করছি, তারপর পদক্ষেপ : মেয়র
পরবর্তী নিবন্ধকে কত ভোট পেলেন