ফেরিতে যাত্রীর চাপ, দিনে চলাচল বন্ধ ঘোষণা

| শনিবার , ৮ মে, ২০২১ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে হঠাৎ করেই ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ঈদের বাকি আরো এক সপ্তাহ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঘরমুখো যাত্রা গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিমুলিয়া থেকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরি শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়ে। এসময় ফেরিতে কোনো গাড়ি ছিল না। ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, যাত্রীদের চাপের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরিটিতে কোনো গাড়ি উঠতে পারেনি। ফেরিটিতে ১২শ’ যাত্রী ছিল বলে ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে। খবর বাংলানিউজের।
এদিকে এর পর আজ শনিবার থেকে পাটুরিয়া ও মাওয়া ফেরি ঘাটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। গতকাল শুক্রবার রাতে বিআইডব্লিউটিসি থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বিআইডব্লিউটিসি জানায়, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনা বিস্তার রোধে শুধু রাতে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী ঈদের আগেভাগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। নৌরুটে রোরোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরীতে কমপক্ষে ১২শ’ যাত্রী ছিল। ফেরিটিতে কোনো গাড়ি পার হয়নি। ফেরিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে শুরু করে যাত্রীদের বসার জায়গাসহ সর্বত্র ছিল উপচেপড়া ভিড়। বরগুনাগামী যাত্রী রিদয় হাসান বলেন, লঞ্চসহ দূরপাল্লার পরিবহন তো বন্ধ। ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরতে হবে। নৌরুটে শুধুমাত্র ফেরি চলছে। প্রচুর ভিড় ছিল ফেরিতে। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন আর স্বাস্থ্যবিধি সব হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন থেকে ঈদের পরবর্তী এক/ দেড় সপ্তাহ পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ থাকবে ঘাটে। গতকাল শুক্রবার সকালে একটি রোরো ফেরিতে কোনো গাড়ি ছিল না। শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই ফেরিটি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসে। সারাদিনই যাত্রীদের বেশ চাপ ছিল ঘাটে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাস-টিকটিকি মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১
পরবর্তী নিবন্ধএবার পানের খিলিতে ইয়াবা