চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের (সেকেন্ড টাইম) সুযোগ প্রদানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ, ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা চবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া আবেদনে বাড়ানো হয়েছে ১০০ টাকা। আগামী ২০ মার্চ বেলা ১২টা থেকে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। যা চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৬ মে পরীক্ষা শুরু হবে, শেষ হবে ২৫ মে।
গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সভায় বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতায় ০.২৫ পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। সভায় আট অনুষদের ডিন, উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও উপ–উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত বছরের মতো এবারও ৪টি ইউনিট ও ২টি উপ–ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ৪৮টি বিভাগ ও ৬ টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। প্রতি ইউনিটে আবেদনের জন একজন শিক্ষার্থীকে গুণতে হবে মোট ৯৫০ টাকা। যা গতবছর ছিল ৮৫০ টাকা।
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ডিনস কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে। গতবছরের মতো এবারও চারটি ইউনিট ও দুটি উপ–ইউনিটে পরীক্ষা হবে। গত বছরের চেয়ে এবার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। তবে বিজ্ঞান অনুষদে আবেদনের যোগ্যতায় সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটে আগে আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে মোট জিপিএ ৮.০০ লাগত। এখন তাতে ০.২৫ যোগ করে ৮.২৫ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ এই চারটি ইউনিট ও দুইটি উপ ইউনিট ‘বি–১’ ও ‘ডি–১’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘এ’ ইউনিটের অধীনে সকল বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বিভাগ/ইনস্টিটিউট, ‘বি’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিক অনুষদ, ‘সি’ ইউনিটের অধীনে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং ‘ডি’ ইউনিটের অধীনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সব বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গেল বছরের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে ১২০ নম্বরের। ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (বহুনির্বাচনী) এবং বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের জিপিএ থেকে যুক্ত হবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এ পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় পাস নম্বর হবে ৪০।