ফলাফল বিশ্লেষণ ইংরেজির কারণেই পিছিয়ে চট্টগ্রাম

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬৭০ জন। হিসেবে পাসের হার ও জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা গতবছরের তুলনায় কমেছে চট্টগ্রামে। গতবার (২০২১ সালে) পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর জিপিএ৫ পায় ১৩ হাজার ৭২০ জন।

 

এদিকে, সারাদেশের পাসের গড় হারের তুলনায়ও এবার পিছিয়ে চট্টগ্রাম। এবার সারাদেশে গড় পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ। আর চট্টগ্রামের পাসের হার ৮০.৫০ শতাংশ। হিসেবে সারাদেশের গড় পাসের হারের তুলনায় চট্টগ্রামের পাসের হার প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ কম। এই ফলাফলে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে চট্টগ্রামের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ম।

৮০.৫০ শতাংশ পাসের হারে কেবল দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ বোর্ডের তুলনায় সামান্য এগিয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম। ৮ম অবস্থানে থাকা ময়মনসিংহ বোর্ডের পাসের হার ৮০.৩২ শতাংশ। আর সর্বশেষ (৯ম) অবস্থানের দিনাজপুর বোর্ডের পাসের হার ৭৯.০৮ শতাংশ।

বিশেষ করে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো করতে না পারায় ফলাফলে পিছিয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বলতে গেলে ইংরেজি বিষয়ে তিন বিভাগের (বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক) শিক্ষার্থীরাই খারাপ করেছেন।

যা সামগ্রিক ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। ইংরেজি প্রথমপত্রে প্রায় ১০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় পত্রে ১৭ শতাংশেরও বেশি পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি ২য় পত্রে ৮২.৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর প্রথম পত্রে পাস করেছে ৯০.৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

ইংরেজির পাশাপাশি মানবিকের কয়েকটি বিষয়েও অকৃতকার্যের হার তুলনামূলক বেশি। এতে করে তিন বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল এসেছে মানবিকে। মানবিকের অর্থনীতি প্রথম পত্রে প্রায় ২১ শতাংশ এবং সমাজ বিজ্ঞান প্রথম পত্রে প্রায় ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এছাড়া যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রে প্রায় ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

এবার বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এরপরই বেশি পাসের হার ব্যবসায় শিক্ষায়। এ বিভাগ থেকে পাসের হার ৮৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম ৭৪ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে পাস করেছে।

বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বিষয়ভিত্তিক ফলাফলে সবচেয়ে কম পরীক্ষার্থী পাস করেছে অর্থনীতি প্রথম পত্রে। বিষয়টিতে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে পাস করেছে ৮২ দশমিক ৯৬ ও প্রথম পত্রে ৯০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রে পাসের হার ৮৯ দশমকি ৬০ শতাংশ। অন্যান্য বিষয়ে পাসের হার ৯০ শতাংশ ও ৯০ শতাংশের উর্ধ্বে।

পার্বত্য অঞ্চল ও দ্বীপ অঞ্চলে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক না থাকার কারণে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে বলে দাবি করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ। ইংরেজিতে ফল ভালো না হওয়ায় চট্টগ্রাম সামগ্রিক ফলাফলে পিছিয়ে থাকছে বলেও দাবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষকের সাথে অশোভন আচরণ পলিটেকনিকে
পরবর্তী নিবন্ধমেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১০ মার্চ