ফটিকছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দণ্ড

দুদকের মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৬ জুন, ২০২৩ at ৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ

স্কুল শিক্ষিকার কাছে ঘুষ দাবি ও গ্রহণের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় ফটিকছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিমেল কদরকে দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। তিনি ঢাকা জেলার দোহার থানার জয়পাড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আজিমেল কদর কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘুষ দাবি ও গ্রহণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আজিমেল কদরকে দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এর মধ্যে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় এক বছর ছয় মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫() ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ায় নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। পিপি বলেন, ঘটনার পর আজিমেল কদরকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু পরে তা বাতিল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আদালতসূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ তাসলিমা আক্তার নামের একজন স্কুল শিক্ষিকা দুদকের কাছে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বেড়াজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা। বিদ্যালয়টি ফটিকছড়ির দুর্গম এলাকায় অবস্থিত। এছাড়া তিনি একজন নারী শিক্ষিকা হওয়ায় যাতায়াতের অসুবিধার কারণে গ্রামের তিনটি স্কুলের নাম উল্লেখ করে বদলির জন্য তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমলে কদরের কাছে একটি আবেদন করেন। এ জন্য তার কাছে আজিমেল কদর ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। একপর্যায়ে তিনি তাকে ৫ হাজার টাকা দিলে বাকী টাকা পরবর্তীতে নিয়ে যেতে বলেন অন্যথায় বদলি হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

আদালতসূত্র আরো জানায়, বিষয়টি স্কুল শিক্ষিকা দুদককে জানালে তৎকালিন উপপরিচালক মো. লুৎফুল কবির চন্দনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি ফাঁদ মামলা টিম গঠন করে অভিযান চালানো হয় এবং হাতেনাতে আজিমেল কদরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি দায়ের করেন। আদালতসূত্র জানায়, তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আজিমেল কদরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা। পরের বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর চার্জগঠনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিপ্লব উদ্যানের নামফলক মুছে দেয়ায় বিএনপির নিন্দা
পরবর্তী নিবন্ধশেষ জো শুরু, এবার ডিম ছাড়বে মা মাছ?