সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যম জুড়ে এখন ভারতের করোনা ভয়াবহতার চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন দেশটিতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্যখাত। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি এখন ও সৃষ্টি হয়নি তবে আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে৷আমাদের দেশেও ইদানীং করোনার ঊর্ধ্বগতির ফলে হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে বাড়তি চাপ।
বিশেষ করে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনা রোগীর চাপে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে করোনা আক্রান্ত রোগী ও স্বজনদের অসহায়ত্বের করুণ দৃশ্য।শয্যা সংকটের ফলে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরেও রোগী ভর্তি করাতে পারছে না স্বজনরা। অক্সিজেন সিলিন্ডার ও আইসিইউ শয্যা যেন এখন হয়ে উঠেছে ‘সোনার হরিণ’। মহামারি করোনাকালে দেশের নড়বড়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের একটি বড় অংশের জন্য আইসিইউ সুবিধা প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের হাসপাতালগুলোতে নেই পর্যাপ্ত আইসিইউ শয্যা। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী,সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ১,১৬৯টি। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে রয়েছে ৪৩২টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে ৭৩৭টি যা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। সেই সাথে অক্সিজেন সংকট ও চরমে। করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজন শক্তিশালী চিকিৎসা ব্যবস্থা। করোনার পরিস্থিতি অবনতির আগেই তাই প্রয়োজন আইসিইউ শয্যা ও পর্যাপ্ত মেডিক্যাল অঙিজেন মজুদ। তা নাহলে মহামারি চরমে উঠলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতো বেশামাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে সময় লাগবে না। সেই সাথে করোনা প্রতিরোধে আমাদেরও প্রয়োজন দায়িত্বশীল আচরণ। তাই করোনাকে অবহেলা না করে আত্মসচেতনতা বাড়াতে হবে।সবাই নিজ নিজ সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা বিস্তার ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ রোধ করা সম্ভব।
আরিফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী, চট্টগ্রাম