‘প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায়’ সেন্টমার্টিন বিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে শহিদুল ইসলাম জুয়েল (১৯) নামে স্থানীয় এক যুবক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুল ছাত্রী মায়মুনা আক্তার
শেফা ৩ নং ওয়ার্ড ডেইল পাড়ার আবু বক্কর ছিদ্দিকের মেয়ে।
এ ঘটনায় প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ করে রাস্তাঘাট অবরোধ করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয় পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা। এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত ছাত্রীর পিতা।
শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদের ছেলে শহিদুল ইসলাম জুয়েল ওই ছাত্রীকে প্রায় ৬ মাস পূর্বে থেকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। সমপ্রতি উত্ত্যক্তের ধরন চরম আকার ধারণ করে। এরই প্রেক্ষিতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের ক্লাস শেষে ওই ছাত্রী টিফিনের জন্য বের হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎপেতে থাকা যুবকটি তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে ছেলেটি পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেন্টমার্টিন হাসপাতাল, পরে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীর চাচা মৌলানা মো. ছিদ্দিক জানান, ওই বখাটে যুবক শেফাকে প্রতিনিয়ত ইভটিজিং করে আসছে। এই ব্যাপারে একাধিকবার সালিশও করা হয়েছে। তারপরেও বেপরোয়া হয়ে আজকে হত্যার উদ্দেশ্য ছুরিকাঘাত করে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজালাল সরকার জানান, ছেলেটা বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও করা হয়েছে। সর্বশেষ ছাত্রীটি টিফিনে গেলে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম জুয়েলকে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করেছেন তার পিতা সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মৌলভী ফিরোজ আহমেদ।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
